সম্পাদকীয়,
শৈশব আমাদের জীবনের আলোকোজ্জ্বল অধ্যায়, সেই অধ্যায়ের বিশাল অংশজুড়ে আমাদের স্কুল জীবন। কতশত স্মৃতিকাতরতা সেখানে। বাঁশখালী এক্সপ্রেস -বাঁশখালীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে (হাই স্কুল) শিকড় শিরোনামে স্মৃতিচারণ মূলক লেখনীর আয়োজন করেছিল। উদ্দেশ্য আমাদের ভাই-বোনদের সুকুমারবৃত্তির চর্চার দ্বার উন্মুক্ত রাখা। তাদের অভূতপূর্ব সাড়া আমাদের প্রথম আয়োজনকে সাফল্যমণ্ডিত করেছে, করেছে আশান্বিত। এরপর শুরু হয়েছে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিকড় ২। বাঁশখালীর বাইরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও অসংখ্য লেখা এসেছে তার মধ্যে স্থান ও লাভ করেছে। বিষয়টি ইতিবাচক ভাবে দেখছি আমাদের বাঁশখালী নামটা সবার হৃদয়ে স্থান লাভ করুক, তারাও আমাদের হৃদয়ে স্থান করে নিক এমনটাই প্রত্যাশা। লেখনীর মানদন্ড ছিল শুদ্ধ বানান চর্চা, প্রাঞ্জল ভাষা এবং বাস্তবিক ঘটনার সরল উপস্থাপনা। বিচারকদের দৃষ্টিতে আমরা প্রথম ১০ টি লেখাকে ই-পেপারে প্রকাশ করার সিদ্বান্ত এবং প্রথম তিনজনকে সনদ ও বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত করার সিদ্বান্ত নেয়া হয়েছে। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি বাঁশখালী এক্সপ্রেস পরিবারের সকল কলাকুশলীদের, আমাদের প্রিয় শুভানুধ্যায়ীদের যারা আমাদের অনুপ্রেরণার বড় অংশজুড়েই। বাঁশখালী এক্সপ্রেস আপনাদের প্ল্যাটফর্ম, আপনাদের এই সুকুমারবৃত্তি, লেখনী অব্যাহত থাকুক এমন প্রত্যাশা করছি।রহিম সৈকত,
প্রধান নির্বাহী,
বাঁশখালী এক্সপ্রেস◾প্রথম স্থান:
ছাত্রজীবন মধুর জীবন। আমার মতে এর মধ্যে স্কুলজীবনই শ্রেষ্ঠ। রাতের আকাশের লক্ষ-কোটি তারার মাঝে কিছু তারা থাকে, যা সব সময় অতি উজ্জ্বলভাবে দেখা যায়। মানুষের স্মৃতিগুলোর মাঝে স্কুলজীবনের স্মৃতিগুলোও তাই। ১৯৯৬ সালে যখন ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হই তখন আমাদের স্কুলের পাশে ছিল সাঙ্গু নদী। নদীর পাড়ে বিকেল বেলার পরিবেশটা ছিল খুবই মনোমুগ্ধকর। ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে আমাদের গণিত ক্লাস নিতেন ভবানী প্রসাদ মিত্র স্যার (পরলোকগমন করেন ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১)।
স্যারের ক্লাস খুব মনোযোগ দিয়ে করতাম। স্যার বাংলা ২য় পত্র খুব ভালো করে পড়াতেন। স্যারের বেত দিয়ে মারার ধরনটা ছিল অদ্ভুত রকমের।
![](https://img.wattpad.com/cover/281843131-288-k215939.jpg)