"চা"

119 12 0
                                    

অনন্যা গাড়ি থেকে নামল। তার মুখে কোনো কথা নেই। অরিজিৎ একবার ওর দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করল -

"আমার ফ্ল্যাট এটা, আপনি কি ভিতরে আসবেন?"

অনন্যা মাথা নেড়ে অরিজিৎ কে অনুসরণ করল। অরিজিৎ এর অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে সোফায় গিয়ে বসল অনন্যা। সে আসে পাশে তাকাল এবার বোধ হয় তার চেতনা ফিরেছে। সে নিজের দুই হাতে মুখ গুঁজে ফোঁপাতে শুরু করল। আর খালি একটাই কথা বলতে থাকল -

"আমি আর পারছি না।"

অরিজিৎ এক কাপ চা অনন্যার হতে ধরাল পাঁচ মিনিট পর। চায়ে চুমুক দিতে দিতে অনন্যা অরিজিৎ এর মুখের দিকে এদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল। বেশ কিছুক্ষণ পর অরিজিৎ নিজের চা শেষ করে অনন্যাকে ফ্রেশ হওয়ার প্রস্তাব দিল। অনন্যার চোখ তখন অরিজিৎ এর দিকে, সে এবার প্রশ্ন করল -

"কে আপনি? আর কেনই বা আমার এত সাহায্য করছেন?"

অরিজিৎ একটু হাসল। প্রশ্নের কোনো উত্তর দিল না। অনন্যা চায়ে শেষ চুমুক দিয়ে সোফা থেকে উঠে দাড়াল আর অরিজিৎ কে জিজ্ঞেস করল ওয়াশরুম কোথায়।

অনন্যা ফ্রেশ হয়ে আবার সোফায় এসে বসল। সে কিছু বলতে চায়ে কিন্তু বলবে কি বলবে না টা নিশ্চিত করতে পারছে না। অরিজিৎ সেটা বুঝতে পারল আর একটু গম্ভীর গলায় প্রশ্ন করল -

"অনন্যা, কি হয়েছে আপনার? এবারে সব খুলে বলুন তো। আমার গাড়ির সামনে আপনি আত্মহত্যা করতেই এসেছিলেন। ওটা কোনো অ্যাকসিডেন্ট ছিল না, তাই নয় কি?"

অনন্যা একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বলা শুরু করল-

"আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে - অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ। অনেক কষ্টে সমন্ধ হয়েছে আমার - মানে আমার বাবা মা ভেবেছিল আমার বিয়ে হবেই না কারণ এর আগে আমি একজনকে খুব ভালবাসতাম। খুব গভীর হয়ে গেছিল আমাদের সম্পর্ক কিন্তু যখন সে জানতে পারল আমি গর্ভবতী সে আমায় ছেড়ে দিতে চাইল - বলল ওর মা বাবা আমায় মেনে নেবে না এই অবস্থায়। আমি খুব অসহায় হয়ে পড়েছিলাম....."

কথা শেষ করার আগেই তার গলা দিয়ে আর আওয়াজ বিরল না। সে কেঁদে ফেলল। অরিজিৎ আর কিছু প্রশ্ন করল না। অনন্যাকে তার বেডরুমে রেস্ট নিতে অনুরোধ করল। সে সোফায় বসে শুধু অনন্যার কথাই ভাবতে থাকল। কি করে কোনো পুরুষমানষ এত দায়িত্বহীন হতে পারে! এই কয়েকদিনে তার যেনো অনন্যার প্রতি একটা মায়া পড়ে গেছে। তার ইচ্ছে করল অনন্যাকে জড়িয়ে ধরে সে তার সব ভার নিজের ঘাড়ে নিয়ে নিক, সব দুঃখ কষ্ট তার দূরে করে দিক.......

কথা শেষ করার আগেই তার গলা দিয়ে আর আওয়াজ বিরল না। সে কেঁদে ফেলল। অরিজিৎ আর কিছু প্রশ্ন করল না। অনন্যাকে তার বেডরুমে রেস্ট নিতে অনুরোধ করল। সে সোফায় বসে শুধু অনন্যার কথাই ভাবতে থাকল। কি করে কোনো পুরুষমানষ এত দায়িত্বহীন হতে পারে! এই কয়েকদিনে তার...

Oops! This image does not follow our content guidelines. To continue publishing, please remove it or upload a different image.
অপরিমেয় ভালোবাসাWhere stories live. Discover now