আমি ধর্ষিতা বলছি

45 5 2
                                    

কি মজা বল, কাল আমাদের ক্লাস এরপর ছুটি।  আহহহ শান্তি।  আহহ রাই একটু চুপ থাক কি গরম দেখছিস? 
আহ পিয়ু তুই ও না। আচ্ছা চল বাসায় যাই।  আর আজ বিকেলের কথা মনে আছে তো?  একসাথে লাইব্রেরি যাব। হ্যা বাবা মনে আছে চল এবার।

উফ দেখলেন মেয়েটা কি বেশি কথা বলে।  মনে হয় কথা ওর রক্তে শিরায় শিরায় মিসে আছে।

আজ বুধবার।  আমি আর আমার বান্ধবী রাই স্কুল থেকে একসাথে বাড়ি ফরছিলাম। ( আমি পিয়ু,  এবার সপ্তম শ্রেণীতে)  আর কয়দিন পর বার্ষীক পরীক্ষা এর পর আমরা অষ্টম শ্রেণিতে কি মজা। 

আমি আর রাই এসব নিয়ে কথা বলতেছিলাম আর হাঁটছিলাম ।তখনই মনে হল আমাদের কিছু কেউ হাঁটছে। আমরা হাঁটা গতি বাড়িয়ে দিলাম। তখন মনে হল পিছনের লোকটাও আমাদের সাথে হাটার গুটি বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন প্রায় ভরদুপুর। রাস্তায় বলতে গেলে কেউই নেই। রাস্তা পুরো ফাঁকা। ভয় এবার তীব্র হলো যখন পিছনের থাকা লোকটা বিশ্রী ভাবে কথা বলতে থাকলো " এই তোরা দুই মালটা হেব্বি, তো যাস কই আয় তোদের একটু আদর করে দেই। " বলেই লোকটা খারাপ ভাবে হাসতে থাকলো। আমরা কোন উপায় না পেয়ে দৌড় দেই। তবে দৌড়াতে গিয়ে খেয়াল করিনাই কই আসলাম, হ্যাঁ এটা একটা পোড়াবাড়ি। যেখানে বকাটে ছেলেগুলো আড্ডা দেয়,নেশা করে, নিত্যনতুন মেয়ে এনে ফুর্তি করে। এদেরকে কেউ কিছু বলেও না কারন এরা চেয়ারম্যান ছেলে আর ছেলে চালা পালা। আরজে আমাদের পিছু করেছিল সে আর কেউ না চেহারমেনের ছেলে অয়ন।

আয়ন আমাদের পিছু পিছু আসে। এসে আমাদের পিছু দাঁড়ায় আর বলে,  " কিরে ওইখানে খোলামেলা তাই আমার আস্তানা এসে পড়লি।  বাহ বেশ তো। you did great. " বলে প্রচার পৈচাশিক ভাবে হাসতে শুরু করে। আমরা ভয়ে দুই কদম পিছিয়ে যেতেই লক্ষ্য করলাম আয়নের বন্ধুগুলো পিছনে দাঁড়ানো। তারা আমাদের দেখে হাসাহাসি করছে এবং জোরজবরদস্তি পোড়াবাড়ির ভিতরে নিয়ে যেতে থাকে।  তবে ভেতরে ঢোকার সময় রাইয়ের হাতে আলপিন জাতীয় কিছু থাকে যা ধাঁধা অয়ন ব্যথা পায়,  এবং না চাইতেও রাইকে ছাড়তে হয়।  রাই সাথে সাথে আমায় ছাড়ায় পরে ওখান থেকে বেরোতে গেলে অয়ন রাইয়ের পা ধরে ফেলে এবং একটা হ্যাচকা টান দেয়। যার ফলস্বরূপ রাই পরে জায়াতে ও ওই অবস্থায় বলতে থাকে " পিয়ু পালা। এই জানোয়ারকে একদম ভয় পাসনা পালা তুই "।

আমি ধর্ষিতা বলছি Where stories live. Discover now