লন্ডন, ইংল্যান্ড
বর্তমান সময়প্রত্যেক দিনের মতো আজকেও লুসি লাইব্রেরিতে বই পড়ছে। বিষন্ন মন। চিন্তা চেতনা এক সাথে বর করেছে। অন্যদিনের মত আজকেও একই অবস্থা। আজও ওকে নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হবে। মনের ভিতরে লুকিয়ে আছে অজানা এক তথ্য। যা ওকে তিলে তিলে কষ্ট দিচ্ছে। এই যন্ত্রণা নিয়ে থাকা মুশকিল। তারপরও সব ব্যথা কষ্ট ভুলে থাকতে হবে। জিবনটাকে নতুন করে মানিয়ে নিতে হবে। কষ্ট বেদনাকে দূরে ঠেলে ফেলতে হবে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে থাকতে হবে। অজানা রহস্যকে জানতে হবে। এই রহস্য তাঁকে তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কিন্তু লুসি মরতে চায় না, সাধারণ মানুষের মতো বাঁচতে চায়। তাঁকে বাঁচতে হবে। তাঁকে নিজের অতীতকে ভুলে থাকতে হবে। নিজের মিশনকে সাকসেস করতে হবে। তাঁর মনের গভীরে যে কষ্ট যন্ত্রণা লুকিয়ে রেখেছে সে তাঁর সমাপ্তি করতে চায়। অতীতে ঘটা ঘটনা গুলো এখনও কাদায়। মৃত্যুর চেয়েও বড় কষ্ট বুকে চেপে বেঁচে আছে। লুসি বেঁচে থাকতে চায় চিরকাল। কিন্তু এটা সম্ভব না।
লুসি যাদু মন্ত্র বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট। এক রকম বলা যায়, এই সব বইয়ের এডিক্ট। মাদকে যেমন মানুষ এডিক্ট, তেমনি লুসি যাদু মন্ত্র বইয়ের এডিক্ট। যার কোনও ঔষধ এখন পয্ন্ত আবিষ্কার হয়নি। লুসির আবার একটা বদ অভ্যাস আছে। যেই বই লুসি পড়বে, সেটা আর ঠিক থাকবে না। লন্ডবন্ডে একসার করে ফেলবে। অবশ্য এতে লুসির কোন সমস্যা হয়না। প্রত্যেকটা বই খুবই মনোযোগ সহকারে পড়ে। এইরকম পড়া যদি অন্য দিক দিয়ে পড়ত তাহলে, বিদ্যাসাগরের টাইটেলটা পেয়ে যেত।
প্রাচীন বইয়ের সমাহার তার লাইব্রেরীর বুকশেলফে। ভিবিন্ন যাদু পিরামিডের প্রাচীন ইতিহাসের বইয়ে ভরা তার লাইব্রেরী। লুসি পৃথিবীর ভিবিন্ন জায়গা থেকে এসব ঐতিহাসিক বই সংগ্রহ করে। এই বই গুলো থেকে লুসি অনেক অজানা তথ্য জানতে চায়। তাঁর জীবনের শুধু একটাই উদ্দেশ্য, মৃত্যুর বই খুঁজে বের করা। লুসির দাদু ও এরকম বই পছন্দ করতেন। লুসি তার দাদুর কাছ থেকে মৃত্যুর বইয়ের কথা জানতে পারে। এরপর থেকেই এই বিষয় নিয়ে লুসি পড়াশোনা শুরু করে। লুসি ষোল বছর বয়স থেকে এই বই খোজা শুধু করে। লুসির বতমান বয়স পচিশ। আঠারো বছর বয়সে লুসি তার দাদুকে হারায়। দাদুকে হারিয়ে লুসি একা হয়ে পড়েছিল। এরপর লুসি সিদ্ধান্ত নেয়, দাদুর অসম্পূর্ণ কাজকে সম্পূর্ণ করার। মৃত্যুর বই লুসি খুঁজে বের করবেই। এই জন্য লুসি দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়ায়। প্রাচীন বইয়ের দোকান গুলোতে বই খোজে। লুসির উদ্দেশ্যর কথা লুসি ছাড়া আর কেউ জানেনা। এমনকি লুসির বাবা মা ও না। লুসি ইংল্যান্ডের নাগরিক। লুসির বাবা মা থাকেন লস এন্জেলেস। কিন্তু, এই বিশেষ কারণে লুসি এখানে থাকে।
লুসি দেখতে সুন্দর, ধবধবে সাদা শরীর, চোখ গুলো নীল (মায়াবী চোখ) লম্বা নাক, লাল ঠোট, ব্রাউন চুল। অপরূপ তার চেহারা। ওকে দেখলে কোন মানুষের তার প্রেমে পড়তে বেশি সময় লাগবে না। সবার সাথে ভালো ব্যবহার, নম্র ভদ্রতা সব মিলিয়ে একটা পারফেক্ট মেয়ে। কিন্তু তার ভালো চেহারার পেছনে লুকানো আছে এক খারাপ উদ্দেশ্য যার জন্য সে সবকিছু করতে পারে। যে কোন কাজ।
লুসি লন্ডনের Oxford University তে পড়ালেখা করে। খুবই মেধাবী ছাত্রী। কিন্তু লুসি University শুধু পরীক্ষার সময়ই যায়। এ ছাড়া কখনও যায় না। সবাই তাকে এই জন্য অদ্ভুত মনে করে। লুসি প্রত্যেকবার University তে টপ করে। লুসি তার জীবন লন্ডনে সুন্দর করে গুছিয়ে নিয়েছিল। যখনই লুসি কোন বইয়ের সন্ধান পায় চলে যায় ওখানে ঐ বই সংগ্রহ করার জন্য দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়ায়। লুসির বিভিন্ন জায়গায় লোক আছে। তারা লুসি কে খবর দেয়। খবর পেলেই লুসি প্লেনে করে চলে যায়।
লুসির দাদু খুবই ধনি ছিলেন। ওনার সব সম্পত্তি এখন লুসির। কোনো অভাব নেই লুসির। কিন্তু তার মধ্যে একটা জিদ আছে। যা ওর ভিতরে কোন জায়গায় লুকিয়ে আছে। যা কোন একদিন বের হয়ে সব তছনছ করে ফেলবে। লুসির লোকেরা যখনই কোনো বইয়ের সন্ধান পায় লুসি কে ফোন করে জানিয়ে দেয়। লুসি তাদেরকে এই কাজের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দেয়। তারাও প্রাণপণ চেষ্টা করে লুসি কে খুশি করতে। লুসি প্রায়ই লস এন্জেলেস তার বাবা মার সাথে দেখা করতে যায়। সেখানে সে বেশিদিন থাকে না। সাথে সাথে চলে আসে। লুসি তার কাজ নিয়ে খুবই গুরুত্বপূণ। লুসি তার উদ্দেশ্য কে সবচেয়ে বড় মনে করে। ওর কথা ওটা ও পারবেই। ওটা সম্ভব করেই ছারবে। আদৌ ও পারবে কিনা তা সে নিজেও জানেনা।
So I hope you like this chapter. Please like and vote and comment and follow. And enjoy.......
ESTÁS LEYENDO
Mortalities Book (Mortalities Book, #1)
Misterio / Suspensoহাজার বছর পুরনো একটা বই, যাতে লেখা আছে MORTALITIES ENCHANTMENTS (মৃত্যুর মন্ত্র)। এই বই তখনকার কালো যাদুকরদের, যারা চেয়েছিল মানবজাতিকে ধবংশ করতে। তারা পারেনি মানবজাতিকে ধবংশ করতে। কিন্তু তাদের সৃষ্টি করা এই বই এখনও পৃথিবীতে আছে। যা একটা গোপন জায়গা...