বিভিন্ন সময়ে লেখা ছোটগল্পগুলো পোস্ট করার ইচ্ছা আছে এই থ্রেডে। প্রতিটি পর্বে নতুন গল্প থাকবে আর প্রতিটি গল্পই এক পর্বের মধ্যে শেষ করার ইচ্ছা আছে। ইন শা আল্লাহ।
Oops! This image does not follow our content guidelines. To continue publishing, please remove it or upload a different image.
কাঁচ নামিয়ে দিলাম আমি।ওয়াসা, বিটিআরসি আর পিডিবি'র কল্যাণে চট্টগ্রাম শহরের যে রাস্তা দিয়েই গাড়ি চালাই, শুধু ধূলা ওড়ে। সেই ধূলার সমুদ্র পেরিয়ে এসেছি অনেকক্ষণ হল। অনেকক্ষণ ধরে ড্রাইভ করছি, প্রায় আধঘন্টা হয়ে গেছে হাইওয়েতে উঠেছি, মাঝে মাঝে দুয়েকটা গাড়ি আমার গাড়িটাকে ক্রস করে যাচ্ছে, কখনোবা বিপরীত দিক থেকে দুয়েকটা গাড়ি ছুটে আসছে।
দুপাশে এখন সারি সারি গাছ, মাঝখানে রোড ডিভাইডার।রোদ পড়ে চিকচিক করছে পীচঢালা রাস্তার বুক, মনে হচ্ছে যেন ভেজা রাস্তায় সূর্যের আলোর প্রতিফলন হচ্ছে।
আমি বাইরে তাকালাম। শীতের সকালে গাড়ীর জানালা দিয়ে ঢুকে পড়া নরম রোদ অসাধারণ ওম দিচ্ছে, মনে হচ্ছে স্টিয়ারিং-এ হাত রেখে এভাবেই ঘুমিয়ে পড়ি। ড্রাইভ করার জন্য অসাধারণ পরিবেশ।
আমি বামে তাকালাম। আমার পাশে, প্যাসেঞ্জার সীটে এক ভদ্রমহিলা বসে আছেন, শাড়ীর ওপর একটা হালকা ঘিয়া রঙের শাল চাপানো। ভাল করে লক্ষ্য করলাম। মহিলার বেশকিছু চুল ধূসর হতে শুরু করেছে।
-আম্মু, আমি কেমন ড্রাইভ করি? আমি জানতে চাইলাম।
-খারাপ না। আম্মুর ছোট্ট জবাব।
-খারাপ না! আব্বুর সাথে বসলে দেখতা। গত দুই ঘন্টায় একটা ঝাকিও খাইছ?
-লাইসেন্স পাইছস দুইদিন হল না আর এর মধ্যে নিজের বাপের সাথে তুলনা।
আম্মুকে নিয়ে এই এক সমস্যা। কোন কথার সরাসরি জবাব দিবে না, দিবে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে। আর আব্বুর চাইতে কোন কিছু ভাল করি কিংবা পারি-এই স্বীকৃতি জীবনেও দিবে না।
-গান-টান দে কিছু, শুনি।
-এদিকে কোন রেডিও চ্যানেলের সিগনাল পাবা বলে মনে হয় না।