The Hunt Continues

31 3 11
                                    

BE OUR GUESTএর কথা শুনেই Beauty and the Beast কার্টুনের গানটার কথা মনে হলো। কিন্তু ধাঁধাঁর প্রথম পার্টটাই ধরতে পারলাম না। ল্যাপটপে গিয়ে সার্চ দিলাম। ঠিক যা ভেবেছি তাই, ঐ কার্টুনেরই একটা গান। যখন বেল ডিনার করতে যায় তখন এই গানটা গেয়েছিলো বাড়ির আসবাবপত্ররা। ওখানে গানের লিরিকসও দেওয়া ছিলো। আমি আর উষা মিলে ধৈর্য ধরে পুরোটা পড়লাম। অনেক বড় গান। কিন্তু কোথাও মাকে নিয়ে কিছু ছিলো না। আরেকবার চেষ্টা করে ছেড়ে দিলাম। অলরেডি একটা পার। এখন না খেলে ডাইরেক্ট সেহেরি খেতে হবে। তাই গিয়ে খেতে বসলাম। খেতে বসেও মাথায় ঘুরতে থাকলো কি হতে পারে এই কথার মানে। উষাকে আরেকবার পড়তে বললাম ক্লুটা। শুনে মনে হলো হয়তো আম্মুর কোনো অ্যালবামে রাখা ছবিতে বা অ্যালবামের গায়ে BE OUR GUEST কথাটা লেখা আছে। আবার মনে হলো কথাটার মানে যদি আক্ষরিক অর্থে নেই তাহলে মেন দরজার বাইরে নেই তো? খাওয়া শেষে দরজা খুলে চেক ও করলাম, কিছুই নেই। উষাকে আমার ব্যর্থ সার্চ আর প্রথম আইডিয়াটার কথা বললাম। তারপর নিজেই অ্যালবাম খুঁজতে বেরোলাম। অ্যালবাম রাখা ছিলো উষাদের বুকশেলফের নিচে, মিমি আপুর পুরোনো ব্যাগের ভেতর। অ্যালবামের চেহারাটা যখন দেখলাম ( নাম BE OUR GUEST ছিলো না ) তখন মিমি আপু এসে জিজ্ঞেস করলো কি করছি। আমি আমার আইডিয়ার কথা বলে বললাম অ্যালবাম দেখছি। তো মিমি আপু বলল এখানে কিছু নেই, আর ঐ কথাটা একটা গানের লাইন। নেটে গিয়ে যেন সার্চ দেই। বললাম সেতো আমরা কখন করে বসে আছি কিন্তু কিছুই পাইনি। মিমি আপু বলল গিয়ে ভালো করে খুঁজতে। এখানে কিছু নেই। আমি গিয়ে ডাইনিং এ উষার পাশে বসলাম। বললাম
-মিমি আপু তো আমাদের ব্যাক টু স্কয়ার ওয়ানে পাঠিয়ে দিলো।
-কেন?
-বলে কিনা ওটা একটা গান, নেটে সার্চ দাও। আমরা তো সেটা করেই বসে আছি। তুই আরেকবার সার্চ দে তো।
-আমি অলরেডি সার্চ দিয়ে পুরোটা মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। কিছু নাই।
-এক কাজ কর, গানের ভিডিওটা সার্চ দে। হয়তো সেখানে কিছু আছে।
-সেটাও দেখে ফেলেছি। ওই গানে খালি একটাই মা আছে আর তা হলো ওই চায়ের কাপের কেটলিটা।
উষার কথা শুনে চমকে উঠলাম। আরে তাই তো। এটা আগে কেনো মাথায় আসেনি। সঙ্গে সঙ্গে ছুটলাম আব্বুর ঘরে। শোকেসে অনেক চায়ের কাপ আছে, যদিও আমাদের বাড়িতে কেটলি নেই। উষাও এলো আমার পিছন পিছন। যখন শোকেসের কাচ খুলছি তখন কানে এলো মিমি আপুর আওয়াজ
-আব্বু তোমাকে একটু পরে চা করে দিচ্ছি।
সেটা শুনে মনে হলো আজকাল তো আমাদের বাসায় নিয়মিতো চা বানানো হয়। রান্নাঘরে কোনো চা বানানোর সরঞ্জামের মধ্যে নেই তো আবার। মিমি আপুর কথা শুনেই কিনা কে জানে উষা বলে ওঠে
-আমি চা বানানোর সব জিনিস চেক করেছি, কোথাও নেই।
উষার কথা শুনে থেমে গেলাম।
-তুই চা বানানোর জিনিস চেক করেছিস?
-হুম।
-আর এখানে চেক করিসনি? এখানে যে এতোগুলো চায়ের কাপ পিরিচ আছে।
উষা আমার কথা শুনে উকিঁ মেরে দেখে হঠাৎ ব্যাপারটা বুঝতে পারে।
-আমি এই জায়গার কথা ভুলে গেছিলাম, উষা বলে।
ততক্ষণে আমি একটা একটা করে কাপ চেক করতে শুরু করেছি। তিন নম্বর কাপের নিচে পাওয়া গেলো ক্লু। আমি আর উষা হাই ফাইভ করলাম।

Treasure HuntWhere stories live. Discover now