A girl's POV:-
আমার নাম অরুন্ধতী রায়। উত্তর কলকাতার রায় বাড়ির মেয়ে আমি , মা বাবার বড্ড আদরের,
হব নাই বা কেন? একমাত্র মেয়ে তাও আবার জ্যেষ্ঠ সন্তান। আমার ভাই সমীর তার উচ্চ শিক্ষার জন্য থাকে কানাডায়। তাই আমার হাতেই দায়িত্ব বাবা মার খেয়াল রাখার। কিন্তু এই দুজন আমাকে সিঙ্গেল দেখতে নারাজ, তাই উঠে পরে লেগেছে আমার বিয়ে দিতে, তাই সমন্ধ দেখছে। আমি এখন B.Ed করছি, স্বপ্ন শিক্ষিকা হব, যদিও এই মুহূর্তে প্রাইভেট টিউশন পড়াই। আমার বয়স ২৫ বছর।মা:- শিক্ষিকা সঞ্জিতা দত্ত রায় (৫১ বছর)
বাবা:- ডাক্তার অনির্বাণ রায় (৫৩ বছর)
ভাই:- মেডিক্যাল স্টুডেন্ট সমীর রায় (১৯ বছর)
A boy's POV:-
আমি অর্কদেব ভট্টাচার্য্য। উত্তর কলকাতার বাগবাজারের ভট্টাচার্য্য বাড়ীর ছেলে আমি। একমাত্র ছেলে, তাই আদর - দায়িত্ব দুটোই আমার কারণ ৫ বছর আগে বিয়ে হয়েছে দিদির, সুদূর আমেরিকায় । আমি টিউশন পড়াই, পরবর্তীতে ফ্যামিলি বিজনেসের দায়িত্ব আমার। বাবা মা উঠে পরে লেগেছে আমার বিয়ে দিতে। আমার বয়স ২৯ বছর।
মা:- অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তার অমৃতা সাহা ভট্টাচার্য্য
(৫৭ বছর)বাবা:- বিজনেস ম্যান দেবদূত ভট্টাচার্য্য
(৫৯ বছর)দিদি:- ইঞ্জিনিয়ার অনিন্দিতা ভট্টাচার্য্য চৌধুরী
(৩৩ বছর)____________________________________
আজ আমাকে দেখতে আসছে পাত্র পক্ষ, আমি অরুন্ধতী। বড্ড নার্ভাস লাগছে, কেন জানিনা।
আমি আজ অন্য রঙে রাঙা, শাড়ি পড়েছি।তারা আসতে আর বেশি সময় বাকি নেই। ছেলের ব্যাপারে যা যা শুনেছি , মনে হয়েছে ছেলেটা সৎ, ভদ্র ও মহিলাদের সম্মান করতে জানে।
এসব ভাবতে ভাবতেই দরজার বেলের শব্দ পেয়ে সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে এলাম। দেখলাম তারা এসেছে, ছেলেটির বাবা মা ও ছেলে। ছেলের উচ্চতা প্রায় ৬ ফুট ২ ইঞ্চি। বাবাও তেমন আর মাও বেশ ভালই লম্বা। ছেলের নাম অর্কদেব ভট্টাচার্য্য, টিউশন পড়ায় আমাদের স্কুলের (রামকৃষ্ণ সারদা মিশন সিস্টার নিবেদিতা গার্লস স্কুল) মেয়েদেরকে।