তাদের সম্পর্ক যেন আরও দৃঢ় হয়ে উঠল। এভাবেই চলতে থাকে, কেটে যায় ২-৩ মাস সময়।
তাদের বন্ধুত্ব যেন অন্য রূপ নিয়েছে, ভালবাসা কিনা তা আমার কাছে অজানা। আজ বিশেষ একটা দিন। যদিও বাঙ্গালীদের কাছে সূর্যোদয় না হলে দিন পরিবর্তন হয় না তবুও রাত বারোটা মানে বলতে গেলে সবাই যেন, দিন পরিবর্তন হল বলেই মনে করে। আজ অরুন্ধতীর জন্মদিন।
যদিও বিগত ২-৩ মাসের রুটিন মাফিক তার এই সময়ে অর্কদেব কে ফোন করার কথা , তবুও সে যেন নিজেই অপেক্ষা করছে সেই মানুষটার ফোনের জন্য।কিছু সময় পরে যেন অরুন্ধতীর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ফোন করলো অর্ক।
অর্কদেব:- হ্যালো, আরু, হ্যাপি বার্থডে। খুব ভালো থেকো তুমি।
অরুন্ধতী:- থ্যাঙ্ক ইউ। আমি জানতাম যে তুমি সবার আগে আমাকে উইশ করবে। কালকে আসবে তো?
অর্কদেব:- তুমি বলেছ যখন আসতে তো আমাকে হবেই। কিন্তু একটু কাজ আছে, দেরি হতে পারে আসতে।
অরুন্ধতী:- ঠিক আছে, কিন্তু আসতে হবে তোমাকে।নাহলে আমি..
অর্কদেব:- নাহলে কি আরু?
অরুন্ধতী:- নাহলে আমি তোমাকে ঠোঁটে কিস করে দেবো। (আস্তে করে বলল)
অর্কদেব:- কিছু বললে?
অরুন্ধতী:- না না, তুমি চেষ্টা করো একটু তাড়াতাড়ি আসার।
অর্কদেব:- আমি যতক্ষণ না আসবো তুমি তোমার বন্ধুদের সাথে গল্প করবে।
অরুন্ধতী:- ওদের সাথে তো রোজই গল্প করি।
অর্কদেব:- আমার সাথেও তো রোজই রাতে ফোনে কথা বল।
অরুন্ধতী:- সামনা সামনি তো আর গল্প করি না।
শোনো, আমার সঙ্গে তুমি কথায় পারবে না। আর শোন বাবা মা কে কিন্তু নিয়ে আসবে। মা আমাকে বলে দিতে বললো।অর্কদেব:- আমি পারতেও চাই না।(তার সেই মিষ্টি হাসি দিয়ে) ঠিক আছে, চেষ্টা করবো তাড়াতাড়ি আসার। পড়ানো আছে তো , জানই তো। তোমার কাল কোনো পড়ানো নেই?
অরুন্ধতী:- আমারও আছে। দেখি কি হয়।ঠিকাছে এখন রাখছি। অনেক মেসেজ আসছে গো, আওয়াজে কানটা যেনো ফেটে পরছে।