স্বামী স্ত্রী আর জয় পার্ট 4

451 0 0
                                    

আর বাড়ি চলে এলাম।বাড়ি এসে শুয়ে শুয়ে ভাবতে লাগলামএই প্রেম এবং সেক্স সত্যিই কি আশ্চর্য দুই বস্তু যার জেরে এক মা তাঁর দুধের বাচ্ছাকেও ছেড়ে চলে যেতে পারেন অন্য এক পুরুষের আলিঙ্গনে। মাঝে মাঝেই এমন নানা রকম নোংরা নোংরা কথা মনে আসতো আমার যা আমার মনে ছোট থেকেই মারাত্মক প্রভাব বিস্তার করেছিল। যেমন প্রায়ই ভাবতাম যে দিন মা আমাকে ছেড়ে তাঁর প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে উঠলেন সেদিন কার কথা। সেদিন রাতে মা নিশ্চই প্রকৃতির ডাকে সাড়া না দিয়ে পারেননি মানে সেদিন রাতে নিশ্চই বন্ধন মুক্তির আনন্দে পাগলের মত মৈথুন করেছিলেন তাঁর প্রেমিকের সাথে। মৈথুনের সময় বাবার বন্ধু মার সেই প্রেমিক নিশ্চই মার স্তন বৃন্তে মুখ দিয়েছিলেন। পান করেছিলেন নিজের প্রেমিকার স্তনের সেই পরম উপাদেয় স্তনদুগ্ধ। আমার খুব জানতে ইচ্ছে করতো সেই রাতে মা তাঁর প্রেমিককে স্তনদানের সময় কি ভেবেছিলেন আমার কথা? তাঁর কি মনে পরেছিল যে কাল তিনি যাকে বুকের দুধ খাইয়ে এসেছিলেন সে এখন কেমন আছে, কি খেয়ে আছে?

আমি তখন ২০তে পা দিয়েছি আবার রাস্তায় আমার মায়ের সাথে রাস্তায় দেখা হয়েছিল আমাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করেছিল কেমন আছি কোন ক্লাস এ পড়ছি । মনে মনে রাগ হয়েছিল ঠিকই কিন্তু রাগ চেপে বললাম ভালো আছি আমি অনার্স নিয়ে পড়ছি গীতা কলেজ এ মা তখন বললো যে কিছু লাগলে কিছু দরকার হলে মনে রাখিস তোর মা আছে।হ্যা রে খোকা তোর বাবা কেমন আছে নিজের প্রতি খেয়াল রাখছে তো। তোর বাবাকে একটু দেখিস আমি মনে মনে বললাম এতই যদি ভালো বাসো শুধু সেক্সের জন্য আমার বাবাকে ছেড়ে দিলে কেন?। তার পর রাতে গিয়ে বাবা কে বললাম আজ মায়ের সাথে দেখা হয়েছিল তোমার কথা জিজ্ঞাসা করছিল। সাথে সাথে বাবা আমার কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলো কি জিজ্ঞাসা করছিল রে। বাবার উতলা দেখে আমি বুঝে গেলাম যে বাবা মাকে কতটা ভালো বাসে। বাবাকে বললাম যে তোমাকে নিজের দিকে একটু নজর দিতে বলেছে। সাথে সাথে বাবার চোখে জল চোলে এলো। আর ওখান থেকে চোলে গেলো। তার পরদিন থেকে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লো বাবার কাজও চোলে গেলো। আমিও কাজ করিনা সামনে ফাইনাল পরীক্ষা বাড়িতে খাবা হয় না পরীক্ষার ফিস নেই কি করবো কিছু ভাবতে পারছিলাম না। এদিকে বাবার অবস্থা খারাপ ওষুধ কেনার পয়সা নেই। কোনো কিছু না ভেবে আমি মায়ের কাছে চোলে গেলাম ওখানে গিয়ে দেখি বাড়িতে অনেক লোক সবাই সাদা জমা পোরে আছে আমার বুঝতে আসুবিধা হলো না যে কেউ মারা গ্যাছে। ড্রাইভার কাকু রামু দৌড়ে এসে আমার হাতটা ধরে কান্তে কান্তে বললো যে তোমার মা মারা গেছে। আমার তো মাথায় বাজ পড়ার মতো অবস্থা আমি কিছু বলতে পারছিনা কোনো শব্দই আমার মুখ থেকে বের হচ্ছে না। আমি একপাও হাঁটতে পারছিনা। অনেক কষ্টে মায়ের কাছে গিয়ে মুখটা দেখলাম আর আমার কিছু মনে নেই। যখন আমার হুশ ফিরলো আমি দেখলাম আমি মায়ের দেখানো ঘরে শুয়ে আছি। আমি তাড়াতাড়ি উঠে রামু কাকাকে জিজ্ঞাসা করলাম মা কোথায় রামু কাকা বললো চলো মায়ের মুখে তোমাকেই আগুন দিতে হবে। তোমার মা এর তুমি ছাড়া তো আর কোনো ছেলে বা মেয়ে নেই তোমাকেই সব দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমার বাবার কথা খুব মনে পড়ছিল যদি বাবা জানতো তো ঠিক চোলে আস্ত। না বাবাকে এখন বলা যাবে না বাবা অসুস্থ। তার পর মা কে শসানে নিয়ে গিয়ে মায়ের মুখে আগুন দিয়ে ফিরে আসছিলাম তখন ড্রাইভার রামু আমাকে বললো দাড়াও তোমার মা তোমার জন্য কিছু রেখে গ্যাছে। ওনার মৃত্যুর পর তোমাকে দিতে বলেছিল। বোলে একটা ডাইরি আর একটা খাম দিলো খামে ১ লক্ষ টাকা।বাবার বন্ধু নির্মল এসে আমার কাছে হাত জোর করে আমাকে বললো আমাকে তুমি মাপ করে দিও তোমার থেকে তোমার মাকে আলাদা করার জন্য । আমি টাকাটা ফিরত দিছিলাম কিন্তু উনি বললো এটা তোমার বাবার টাকা তোমার বাবা তোমার মা কে একটা ফিক্স ডিপোজিট করেছিল এটা সেই টাকা। আমি প্যাকেট আর ডাইরি টা নিয়ে বাড়ি চোলে এলাম। বাড়ি এসে দেখি বাবা নেই দৌড়ে শিপ্রা কাকি দের বাড়িতে গেলাম কাকিমাকে দেখতে পেলাম না কেউ নেই বাড়ি। আমি রাস্তা দিয়ে আসছি হটাৎ হারান কাকু বললো কি রে তুই এখানে কি করছিস আমি বললাম যে বাবাকে ঘরে দেখতে পাচ্ছি না। মানে তুই কিছু জানিসনা আমি জিজ্ঞাসা করলাম কি জানি না তুই কাল থেকে কোথায় ছিলি তোর বাবার কাল হটাৎ খুব শরীর খারাপ করেছিল ঘর থেকে জোরে জোরে গোগাছিলো শিপ্রা খাবার দিতে এসে তোর বাবার এই অবস্থা দেখে হসপিটালে নিয়ে গাছিলো সাথে সাথে তোর বাবার মৃত্যু হয় সিপ্রারা এখনো হসপিটালে তোর জন্য অপেক্ষা করছে। আমি কি শুনছি এ আমার সাথে কি হচ্ছে। ভগবান আমার সাথে এটা কি করছে কিছু ভেবে পাচ্ছিলাম না। কোথায় যাবো কি করবো আমি কিছু ভেবে পাচ্ছিলাম না আমার দুনিয়া যেন পাল্টে যাচ্ছে। আমি মদ খাওয়া মাতালের মতো জানো টোলছি আমি যেনো এখুনি মরে যাবো মনে হচ্ছে।বুকের ভিতরে যেন কেও হাতুড়ি দিয়ে জোরে জোরে বাড়ি মারছে। আমি তাও কোনোরকমে বসে উঠে হসপিটাল যাচ্ছি। বাস থেকে নেমে আমি রাস্তা পার হচ্ছিলাম হটাৎ একটা মারুতি এসে আমাকে ধাক্কা মারলো আমি রাস্তায় পড়ে গেলাম আমার মাথা ফেটে গেলো হাত অনেকটা কেটে গেলো।তাও আমি কিছু বুঝতে পারছি না আমাকে বাবার কাছে যেতে হবে বলে আমি উঠে মারুতির ড্রাইভার কে সরি বোলে চোলে যাচ্ছিলাম তারপর আমার কিছু মনে ছিল না।আমার গ্যান ফিরলো আমি হসপিটালের বেড়ে শুয়ে আছি উঠেই আমি শিপ্রা কাকি মাকে দেখে বললাম আমি এখানে কি করছি। কাকি মার চোখে জ্বল আমাকে বলেছে যে আর একটু হলে তুই ও মারা যেতিস। আমি বললাম আর বেঁচে থেকে কি লাভ হবে বলো বাবা মা দুজনকেই একসাথে হারালাম আমি। কাকিমা বললো কি বলছিস আমি তখন সব খুলে বললাম। কাকি মা চোখ মুছতে মুছতে বললো।আমার জীবনেআমি এমন ঘটনা কোনোদিন দেখিনি বা শুনি নি। যাই হোক আজ তিনদিন হয়ে গেলো তোর বাবাকে কোল্ড রুমে রাখা আছে ওনাকে নিয়ে সোসানে যেতে হবে তুই ছিলোনা বলে আমরা নিয়ে যায়নি। আমি যায় ডক্টর এর কাছথেকে পারমিসন নিয়ে আসি। কাকি মা ডক্টরের কাছে গিয়ে পারমিসন নিয়ে এসে বাবার লাশটাকে বাড়ি নিয়ে চান করিয়ে আমাকে সাথে নিয়ে। সসানে গেলাম মা কে যেই খানে পড়ানো হয়েছিল ঠিক সেই খানই বাবা কে পড়ানো হলো আর একই যায় যায় পিন্ডি দান করা হলো। এর পর দুই দিন কেটে গেলো। শিপ্রা কাকিমা আমাকে ভাত দিয়ে যায় কিন্তু ওরা তো আমার নিজের কেও নয় তার পরও ওরা যা করছে আমি ওদের কাছে চিরো কৃতজ্ঞ। কাকি মা আমাদের বাড়ি এসে আমাকে একটা খাতা দিয়ে গেলো আর বললো যে এর সাথে কুড়ি হাজার টাকা ও ছিলো কিন্তু হসপিটালে খরচা হয়ে গ্যাছে। যেটা তোর বাবা তোকে দিতে বলেছিল। আমি বললাম ঠিকআছে কাকি মা কোনো ব্যাপার না আর দাড়াও আমি আরো দশ হাজার টাকা কাকি মার হাতে দিয়ে বললাম তোমাদের এই উপকার আমি কোনোদিন ভুলতে পারবো না। তারপর আমি আমার মার ডাইরি টা খুলে পড়ছিলাম।

স্বামী স্ত্রী আর জয় পার্ট ১Where stories live. Discover now