পর্ব : ২

22 1 0
                                    

#ভালোবাসি_একটু_বেশিই
#পর্ব - ২

যে ভিডিও টা দেখালো সেটা দেখে আমি তো হতভম্ব...চলুন আপনাদের সাথেও শেয়ার করি কি আজব একটা ব্যাপার ছিলো! ভিডিও টায় দেখা যাচ্ছিলো একটা মেয়ে আর একটা ছেলে টিএসসি ক্যাম্পাসের একটা বেঞ্চ এ বসে আছে। মেয়েটার চুলটা ঝুটি করে বাধা! আরে এই মেয়ে কে কিন্তু পেছন থেকে ঠিক আমার মতো লাগছে। যেহেতু আমরা যেই বাসায় ভাড়া থাকি ঐ বাসার পেছনে সিসি ক্যামেরায় ফুটেজ টা উঠে গেছে সেই জন্য উনি ধরে নিয়েছে ওটা আমিই! ভিডিও টা আরেকটু আগাতেই দেখা যায় ছেলেটা মেয়েটার চুলগুলো খুলে দিয়ে কানের পাশে গুজে দিচ্ছে... তারপর অফ হয় যায়!

হতভম্ব হওয়ার সাথে সাথে আমার মাথায় উঠে থাকা মেজাজ টা এবার মাথা থেকে বেরই হয় গেলো! বহুত কষ্টে কন্ট্রোল ছিলো। মাথা টা আরেকটু ক্ষণ ঠান্ডা রেখে ঝাড়তে চেলাম কিন্তু হলো না।। দাঁট কটমট করে মোবাইল টা ছুঁড়ে ফেলে দিলাম! ফোন টা ছিলো আসলে রাফিদ ভাইয়ার। এতক্ষণ রাফিয়া এসে আমার পিছনে দাঁড়িয়ে পড়েছে।

---হাও ডেয়ার ইউ! এসব নোংরামো করার সময় মনে ছিলো না... আসলে সবই বড় লোক বাপের মেয়েদের ঢং... এদের তো স্বভাবই রাস্তা ঘাটে... ( তাচ্ছিল্য করে বলে রাহাত ভাইয়া, আমার খুব খারাপ লাগে, আমি এমন মেয়েই না.... কোনো বয়ফ্রেন্ড নেই আমার, কাউকে পাত্তাও দেই না খুব একটা)
--- বাস! অনেক হয়েছে অনেক বাজে কথা বলে নিয়েছেন আপনি.... কি মনে করেন মেয়েদের! এতটা চরিত্রহীন কেনো ভাবেন আমাদের। শুনুন এটা ঢাকা মেডিকেল কলেজ, আর আপনার মতো আমিও এখানে হাজার হাজার স্টুডেন্টদের সাথে লড়াই করেই এখানে চান্স পেয়েছি। এখানে আমিও লেখাপড়া করে ডাক্তার হতেই এসেছি...আর আমি তো ঢাকার মেয়ে পর্যন্ত না... কাউকে চিনি না, এলাকা জানি না... এসব... ছিহ! ভালো করে আগে জেনে দেখবেন ওটা কে ছিলো তারপর বলতে আসবেন! আমি যে ওটা নই তার প্রমাণ আমি নিজেই দিতে পারবো। কিন্তু আমার পরিবার তুলে কথা বললে আমি কিন্তু মেনে নেবো না।

( বলতে বলতে গলা ভারী হয়ে চোখ ভরে গেলো নোনা জলে, আমি রাহাত ভাইয়ার দিকে রাকিয়ে একটা অসহায়ের মতো শ্বাস ফেলে অন্যদিকে ঘুরে তাকালাম! এতোক্ষন আমাকে এভাবে বলতে দেখে রাফিয়ার মনেও টুকটাক সাহস হয়েছে দেখছি! ওউ বলতে শুরু করলো)

ভালোবাসি একটু বেশিই Where stories live. Discover now