পর্ব : ৫

20 2 0
                                    

#ভালোবাসি_একটু_বেশিই
#পর্ব - ৫

ওর মুখে বর্ণনা শুনে আমি আর কিছু বলার ভাষা পাই না.... যে মানুষ টা আমাকে বাচালো আমি তাকে এভাবে চড় মারলাম! খুব বাজে হয়েছে... ওনাকে স্যরি বলতেই হবে....

কিন্তু সেদিন আর বলা হলো না.. পরের দিন বলবো ভেবেছিলাম.... তারপরের দিন সকালে আমি ওনাদের রুমেই গেলাম স্যরি বলতে... বলতে আমাকে হবেই... কিন্তু দেখি ওনাদের রুম তালা দেওয়া.... পাশের রুমে অনু আপু বললো যে ওনারা নাকি এখন থেকে হলেই থাকবেন আর এই রুম টা তালা দেওয়াই থাকবে... অনেক চেষ্টা করেছি সেদিন রাহাত ভাইয়া কে খুজে বের করার... কিন্তু পারিনি.... কোত্থাও খুজে পাইনি... উনি সত্যিই আমার চোখের সামনে আসেননি...

দেখতে দেখতে বছর কেটে গেলো.... সেকেন্ড ইয়ারে উঠে গেছি..... রাহাত ভাইয়াকে এক দিনও আর দেখিনি.... সেকেন্ড ইয়ারের ফার্স্ট দিন ক্লাসে আসার সময় মনে পড়ছিলো ওনার কথা খুব.... এক বছর আগের প্রথম দিনই তো দেখা হয়েছিলো ওনার সাথে....রাফিয়াও এখন আর রাফিদ ভাইয়া রাফিদ ভাইয়া করেনা.... আদিত্য এখন আমার অনেক ক্লোজ ফ্রেন্ড হয়ে গেছে.... সব পালটে গেছে... নিশ্চই রাহাত ভাইয়া রা এখন ফোর্থ ইয়ারে উঠে গেছে...

আরও ছয় মাস চলে গেলো.... এতো এতো পড়া আর এক্সামের মধ্যে আমি আর আগের কোনো কথ ভাবার অবকাশ পাই না। হলেও সীট পেয়ে গেছি... এক্সামের আগের রাত গুলো ঐ বাসায় থাকি..... পড়ি,,,, রাতে করিডোরে হাটি... কিন্তু কেউ আর আগের মতো টক্কর দিতে আসে না... আগের মতো আজব কিছু ঘটেও না আর এই দেড় বছরে... দোতলায়ও আর যাওয়া হয় না....

সেকেন্ড ইয়ারের হাফের দিকে একদিন আমাদের সিনিয়রদের সাথে একটা ক্লাস দেওয়া হয়.... ডাক্তার হওয়ার জন্য অনেক টা পথ পাড়ি দিয়ে ফেলেছি...

আমি যেই টিমে ছিলাম ঐ টিম লিডার একজন ভাইয়া৷. উনি ফোর্থ ইয়ারের.. কিন্তু নাম আমি জানিনা.... যখন আমাকে কার্ড দেওয়া হয়... কার্ডের নাম টা দেখে আমার চোখ গোল হয়ে ওঠে... কার নাম দেখছি এটা? রাহাত আরেফিন খান? ঠিক দেখছি তো? ইয়া আল্লাহ সেই দেড় বছর আগেকার ঘটনা রিপিট হবে নাতো? কিন্তু ওনার সাথে কথা বলাটা খুব দরকার আমার.....

ভালোবাসি একটু বেশিই जहाँ कहानियाँ रहती हैं। अभी खोजें