পর্ব :৪

12 2 0
                                    

#ভালোবাসি_একটু_বেশিই
#পর্ব - ৪

উনি ঘাড় ঘুরিয়ে অন্য দিকে তাকায়,, তারপএ বাকিদের বিদায় দিয়ে একটু দূরে গিয়ে বাইক নিয়ে চলে যায়। ওনার বাইক আছে আমি জানতাম না... ওনার মুখ টা মলিন লাগছিলো... কেমন একটা মায়া হয় আমার....

যাই হোক... রাতের দিকে বাসায় ঢুকে প্রচন্ড ঘুম পাচ্ছিলো... কিন্তু এখন ঘুমালে তো চলবে না... পড়তে হবে....ব্ল্যাক কফি খেয়ে দুজনে পড়তে বসে পড়লাম....পড়তে পড়তে অনেক রাত হয়ে গেলো। কিন্তু এই কদিনে একটা জিনিস খেয়াল করলাম এখানে আসলে রাতে কেউ ঘুমায় না সবাই পড়ে,,,, তাই রাতে পরিবেশ শান্তের চেয়ে অশান্ত ই বেশি। অনেক গভীর রাতে একটু শান্ত হয় সব রুম। পড়ে ফেসবুক ঘাটতে ঘাটতে দেখি আমাদের ক্লাসের একটা ছেলে মেসেজ করেছে.....ছেলেটা আমার রোলমেট....... বেশ কয়েকদিন ধরেই মেসেজ টেসেজ দেয়, ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট দিয়ে রেখেছে,,, আমি এক্সেপ্ট করিনি।

-- একটা রিপ্লাই দেওয়া যাবে? প্লিজ? খুবই আর্জেন্ট দরকার
-- হুম বলো ( রিপ্লাই দিয়ে রাখলাম, তখন আর রিপ্লাইয়ের রিপ্লাই আসলো না,, মনে হয় ঘুমিয়ে গেছে)

ঘুমালাম।ফজরের আজানের সময় উঠলাম,,, নামাজ পড়ে একটু বারান্দায় গেলাম। এই আবহাওয়া টা শ্রেষ্ঠ আবহাওয়া। খুব ভাল্লাগে,,,, আমার রুমের বারান্দাটা অনেক ছোট, তাই আমি বেশিরভাগ সময়েই করিডোরে চলে যাই। তাই ই গেলাম... এতো সকালে তো ঐ এক ফা*জি*ল রাহাত ছাড়া আর কাউকে আমি দেখিনি। তাই আরামেই হাটি... দোতলায় তো আর যাচ্ছি না আমি ভুলেও ... এক মগ ব্ল্যাক কফি নিয়ে হাঁটছি করিডোরে, এসে মাঝে মধ্যে রেলিন্যে দাঁড়িয়ে আছি অনেক্ক্ষণ... একবার সিঁড়ির দিকে গেলাম... নিচে উঁকি মারলাম আনমনেই... আবার গিয়ে বাইরের আবহাওয়া দেখছি দাঁড়িয়ে...

কিন্তু কেনো যেনো মন বসছে না... না মানে রাহাত ভাইয়ার সাথে ঝামেলা করাটা কি আমার অভ্যাস হয়ে গেলো নাকি? ওনার কথাই খালি মনে পড়ছে... মাথা থেকে যতই বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছি... হচ্ছে না... রাগ হচ্ছে... পায়চারি করতে করতে আবার উকি দিলাম সিড়ি দিয়ে...

--- নাহ নেই... বাঁচা গেলো.. ( ইচ্ছা করে বললাম না অনিচ্ছা করে বুঝলাম না ঠিক, কারণ চোখ বার বার ও দিকেই যাচ্ছে :( নিজেকে নিজেই বুঝতে পারছি না। কি আজব! এবার রেগে মেগে ঘরের দিকেই চলে গেলাম... কিন্তু...

ভালোবাসি একটু বেশিই Opowieści tętniące życiem. Odkryj je teraz