মিরা

5 0 0
                                    

" ম্যাম গতকাল সকালে বি ওয়ার্ডের যে বয়স্ক পেশেন্টের অপারেশন করেছিলেন আজ দুপুরে স্ট্রোক করে উনি মারা গেছেন।" জানালো নার্স।

"হু" উত্তর দিলো নীরা, উল্টো দিকে মুখ ফিরিয়ে কম্পিউটারে কাজ করতে করতে।

"ম্যাম!"

"উফ!!
উনি মারা গেছেন তো আমি কি করবো?"

নার্স মেয়েটি তারপরও  দাঁড়িয়েই রইলো।

নীরা ভ্রুক্ষেপ করলো না। থিসিসটা প্রায় রেডি, আরেকবার চেক দিয়ে আজকেই ইমেইল করতে হবে।
মেয়েটির দিকে না তাকিয়েই জিজ্ঞেস করল, "আর কিছু বলবে?"

" জী। উনার মেয়ে আপনার সাথে একটু কথা বলতে চায়।''

"কি ব্যাপারে? "

"উনাদের বিল ক্লিয়ার হয়নি।
করতে পারবেন  বলেও মনে হচ্ছে না।"

" মানে কি?"

"হ্যাঁ উনি এই কথাই বলছেন।"

"এটা তো আমার ডিপার্টমেন্ট না।"

"স্যার আপনাকে ফোনে পাচ্ছেন না, আমাকে জানালেন আপনাকে ডীল করতে বলে ।"

"হ্যাঁ, ফোন অফ রেখেছি।
büt!
whÿ më!
älwäÿs!
জরুরী কাজের মধ্যে উটকো সব ঝামেলা খুঁজে খুঁজে আমার কাছেই আসবে!
আচ্ছা আসতে বলো।"

"ম্যাম!"

"আবার কি?" নীরা এবারো তাকালো না।

"কিছু না, সরি ম্যাম।" বলে দরজা ভিড়িয়ে  দিয়ে মেয়েটি চলে যাওয়ার মিনিট দশেকের মধ্যে আবার পাল্লার ওপর খুটখুট শব্দ শুনে নীরা বললো,
"ভেতরে বসুন।"

পেছন থেকে জোরে চেয়ার টেনে বসার শব্দে  নীরার মেজাজ খারাপ হয়ে গেল।

টেবিলের পাশেই পানির ফিল্টার আর একটা মগ রাখা, তাই দেখেই কিনা, আসল কথা বাদ দিয়ে দর্শনার্থী বলে ফেললো,

"একটু জল খাবো দিদি?"

নীরার মাথায় আগুন ধরে গেল।
"যেন বাইরে আর কোথাও পানি নেই! সময়ের মূল্য জানে না- কতগুলো গর্দভের সাথে ডীল করতে হয় রোজ! ফালতু ননসেন্স মহিলা একটা! " তেতে গিয়ে মনে মনে গালমন্দ করলেও মুখে খুবই ভদ্রভাবে উত্তর দিলো,
" আপনার সমস্যাটা বলুন।
বাইরে পানির ব্যবস্থা আছে।"

One Shot StoriesWhere stories live. Discover now