বন্দীমুক্তির আনন্দে আত্মহারা ছিল সুখচাঁদের পরিবার,
মুক্তি হল, যে মুক্তি চায় একজন ধার্মিক,
যে মুক্তি চায় একজন প্রেমে ব্যর্থ প্রেমিক,
কিন্তু সে মুক্তি সুখচাঁদের মেয়েটাকে স্কুলে পাঠাতে পারলনা।
পারলনা তার অন্ধ মায়ের চোখ ফিরিয়ে দিতে।
বাবাটা অনুপদের বাড়িতে জনমজুর,
সুখচাঁদের একটা ভাই ছিল, পার্টি করত।
কারা যেন একদিন মেরে ফেলল,
লাশটা পাওয়া গেল ডোবার ধারে,
গুলিতে এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে গেছে বুকটা, মাথা টা বোধহয় ডোবায়।
কিন্তু তাও ওরা চুপ ছিল, বাড়ন্ত মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়ে।
আজ সেই মুখে আনন্দের শেষ চিহ্ন টুকুও আর নেই।
মুক্তি হয়েছে, যে মুক্তির উত্তর কোনো যুক্তিতে পাওয়া যায়না।
মুক্তি দিয়েছে সমাজ, ধর্ষিতা মেয়ের বাবার কলঙ্কের হাত থেকে।
কিন্তু ওরা তো কোনো দোষ করেনি।
তাহলে কার পাপের শাস্তি পেল ওই ফুটফুটে দশ বছরের মেয়েটা?
এ উত্তর জানা নেই ভদ্রসমাজে।
কারন, ওরা ছোটলোক।
আর ছোটলোক হওয়ার পরিণাম...
বার বার ধর্ষন।
এই সমাজ সেই সমাজ, যে সমাজে বঞ্চিতরাই তুলে দেয় শোষক দের উদরপূর্তির খাবার,
এ সেই সমাজ যেখানে বিদ্রোহ কে দমন করতে জিভ টেনে ছেঁড়া হয় বিদ্রোহীর নয়,
তার সবথেকে আদরের বাচ্চাটার।
অনেক দেখেছি, সহ্য করেছি, আর সহ্য নয়...
এই বার চলো বিদ্রোহ মাঝে বিদ্রোহী হয়ে রই।
বারুদ গুলি তে অনেক নিয়েছি, অনেক দিয়েছি প্রাণ,
এবারে তাই বিদ্রোহেতে অহিংসার ই গান...
মনুষ্যত্ব ফিরিয়ে এনে ফিরিয়ে আনি জীবন,
দারুন ভাবে বাঁচতে শিখি, ভুলে যাই এবে মরণ।
বাঁচার বলে বাঁচতে চেয়ে এসো বাঁচি মোরা...
জীবন আনো জীবন স্রোতে জীবনতোড়ায় মোড়া।
জীবনের এই অশান্ত পথ বন্ধ করো সবে,
এবার বন্ধু এসো বলি একসাথে তবে,
'ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে'।
YOU ARE READING
একলা কবির ছন্দগান
PoetryA bunch of poems written on various aspects of life.. Some of them are on 'Sringar' .... some are on sorrow.