পর্ব ৮

175 2 0
                                    


---
বিকেলে বাঁধলো আসল বিপত্তি। আমি ও রাইসুল হাঁটতে হাঁটতে বড়বাজারের মোড়ে চলে এলাম। তবুও ব্যানসন সিগারেট বেচে, এমন দোকান পেলাম না। এখানে সবচেয়ে দামি সিগারেট বলতে এরা চিনে নেভি। অগত্যা বাধ্য হয়ে এক প্যাকেট নেভি কিনে বাসার দিকে ফিরতে লাগলাম।
সন্ধ্যা হচ্ছে। কুয়াশা তার চাদর বিছিয়ে কোলে তুলে নিচ্ছে সমস্ত আলোকসজ্জা। বিকেলের শেষাংশেও ফোনের ফ্লাশলাইট ব্যবহার করতে হচ্ছে।
রাস্তার পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা স্টেশনারি দোকানগুলোতে হলদেটে বাতি টিমটিম করে জ্বলছে। কাঁচা-পাকা রাস্তায় নড়বড়ে হাঁটতে হচ্ছে। সত্যি বলতে, বেশ ভালোই লাগছে।
রাইসুলের সাথে গ্রামে এসে ভুল করিনি, মনে মনে ভেবে পুলকিত হলাম।
ঠোঁটের ফাঁকে সিগারেট আঁটকে রাইসুল বললো,
"কেমন লাগছে গ্রাম দোস্ত?"
"খুবই ভালো।"
"আমার বাড়ি?"
"শালা রাজপ্রাসাদ বানিয়ে রেখেছিস দেখা যাচ্ছে! আর ঢাকাশহরে গিয়ে এত গলা শুকাস ক্যান? সিগারেটও আমিই খাওয়াই।" কপট রাগ দেখিয়ে বললাম। জবাবে সে কেবল হাসলো।
আমার মাথায় গ্রামের সৌন্দর্যের পাশাপাশি ঘুরছে আরো নানান ব্যাপার। চিন্তা হচ্ছে খাদিজাকে নিয়ে। চুদতে মন চাচ্ছে রাইসুলের ভাবীদের। জট পেকে যাচ্ছে সব। একসময় ওকে বললাম,
"আচ্ছা, দোস্ত, একটা কথা বলি? মাইন্ড করিস না।"
"বল।"
"তোর ভাবীরা কিন্তু একেকটা জোস মাল!"
"তাই?"
"হুম।"
হো-হো করে কিছুক্ষণ হাসলো সে। ধাতস্থ হয়ে বললো, "চোখ দিয়েই সব খায়েশ মিটিয়ে ফেলিস। আমার পরিবার ধার্মিক না হলেও নারীদের ব্যাপারে কিন্তু খুব স্ট্রিক্ট। উল্টাপাল্টা কিছু করলে মাইর মাটিতে পড়বে না।"
খানিকটা দমে গেলাম। বললাম,
"তারমানে যতদিন তোর গ্রামে আছি, ততদিন ধনটাকে উপোস রাখা লাগবে..."
"এই কথা তো বলিনি আমি।"
"মানে?"
রহস্য করে হাসলো রাইসুল। বললো,
"অপেক্ষা কর, সবই দেখতি পারবি।"

লিলিথিয়ানWhere stories live. Discover now