পর্ব ১৫

170 2 0
                                    

১৫
---
চোদা নেয়া শেষে ভাবীরা যখন কাপড়চোপড় পরে দ্রুত রুম থেকে বেরিয়ে গেল, তখনও আমি বিছানায় পড়ে রইলাম। ঘূর্ণনরত সিলিংফ্যানের দিকে তাকিয়ে রইলাম একদৃষ্টিতে। নিজের কপালকে বিশ্বাসই হচ্ছে না। সম্ভ্রান্ত পরিবারের গৃহবধূদের ঠাপানোর চাইতে বেশি মজা আর কিছুতে নেই।
মিনিট দশেক পর বুঝতে পারলাম যে শীতে থরথরিয়ে কাঁপছি আমি। গায়ে জামা পরে বারান্দায় গেলাম। সিগারেট ধরিয়ে লম্বা করে টান মেরে নিচে তাকালাম। ভাবীরা রান্নাবান্নার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। দেখে বোঝার জো নেই এই ভদ্রমহিলারাই কিছুক্ষণ আগে পাগলের মতো আমার ধন চুষেছে, ঠাপ নিয়েছে।
ছোট্ট নিঃশ্বাস ফেলে ঘরে ঢুকতেই যাবো, তখনি পকেটের ভেতর থেকে গোঙানি দিয়ে উঠলো মোবাইল ফোনটা।
কল রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে ভেসে এলো খাদিজার কণ্ঠ।
"হালো ভাইজান।"
"আরে খাদিজা! কেমন আছিস?"
"ভালা। আপনে?"
"আমি ভালোই আছি রে। এতদিন পর মনে পড়লো আমার কথা? হাহা..." হাসতে হাসতেই জিজ্ঞেস করলাম।
ওপাশ থেকে কয়েক সেকেন্ড নীরবতার পর সে বললো, "আপনের কথা পত্তিদিনই মনে পড়ে। ফুনে ট্যাকা আছিল না, নইলে আগেই ফুন দিতাম।"
ছোট্ট নিঃশ্বাস ফেললাম আমি।
খাদিজা প্রশ্ন করলো,
"খাওনদাওন করসেন?"
"হুম।"
"কি খাইসেন?"
"ইলিশ মাছ, ভাত আর কয়েক পদের ভর্তা।"
"ঠিকমতো খাইসেন তো?"
গোয়েন্দাদের মতো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে প্রশ্ন করছে সে। বুকের ভেতরটা অজান্তেই মোচড় দিয়ে উঠলো। এভাবে আমাকে প্রশ্ন করতো আমার মৃত মা।
"উত্তর দ্যান না ক্যান?"
দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললাম,
"হুম, ঠিকমতোই খেয়েছি। তুই খেয়েছিস?"
"হ।" একটু থেমে পুনরায় বললো, "নতুন কাউরে লাগাইসেন ওইখানে?"
হো-হো করে হেসে উঠলাম আমি। হাসিতে যোগ দিলো সেও। বললাম,
"অনেকজনরেই লাগাইসি। লম্বা ঘটনা। ঢাকায় এসে বলুমনি।"
"কবে আইবেন?"
"দেখি।"
"আচ্ছা, রাখি। পরে ফুন দিবানি।"
"আচ্ছা।"
কল কেটে বারান্দার অপরপাশে থাকা বিশাল নারকেলগাছের দিকে তাকিয়ে রইলাম। বেশ উপরে দুটো পাখি বসে আছে। ওরা নিশ্চয়ই প্রেমিক-প্রেমিকা। হাসলাম আমি।
আচ্ছা, আমাকে খাদিজা কল দিলো কেন? তার কি আমার কথা মনে পড়ছে? কেন!
আমি তো তার কেউ নই। সে স্রেফ একজন কাজের মেয়ে, যার ভোদার গভীরতা অপরিসীম। তাকে আমি কখনো ভালোবাসার কথা বলিনি, সেও বলেনি। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন; আমি কি আদৌ তাকে ভালোবাসি? অসম্ভব। ভালোবাসা আমার দ্বারা সম্ভব নয়। এখনও খেয়াল আছে আমার, যখন ভাবীরা আমাকে নিয়ে উদ্দাম যৌনতায় মেতে ছিল তখন আমি সেসব সুন্দরীদের চেহারার পরিবর্তে দেখছিলান খাদিজাকে। কেন এমনটা হচ্ছে?

সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে বাসায় এলো রাইসুল। ঘর্মাক্ত দেহে এসে জানালো যে আজ রাতেই নিমিত্তপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হবো আমরা। বাসার সবাইকে জানানো হবে যে কোথাও ঘুরতে যাচ্ছি। যেই ভাবা সেই কাজ।
রাত সাড়ে আটটায় আমি ও রাইসুল বেরিয়ে পড়লাম। সৌভাগ্যক্রমে একটা অটো আগেই ভাড়া করা ছিল, তাই এই কনকনে শীতে ফাঁকা রাস্তায় দাঁড়িয়ে অটোর জন্য অপেক্ষা করা লাগলো না।
অটো চলতে লাগলো গ্রামের আঁকাবাকা সড়ক দিয়ে। আমি বেশ কসরত করে সিগারেট ধরালাম। টান দিয়ে লম্বা ধোঁয়া ছাড়লাম। মাথার মধ্যে নানান আজেবাজে চিন্তাভাবনা জট পেকে যেতে লাগলো। কেন যেন আমার মন কুডাক দিচ্ছে। মনে হচ্ছে রাইসুলের এই ফালতু এক্সপোজ সংক্রান্ত প্ল্যানের জন্য বড় কোনো বিপদে পড়তে যাচ্ছি।
অটোর বাইরে মাথা গলিয়ে আকাশে তাকালাম। মস্ত বড় চাঁদ ঝুলে আছে। এই চাঁদ নিয়ে কতই না কবিতা-গল্প-সাহিত্য রচিত হয়েছে! কেউ চাঁদকে তুলনা করেছে স্নেহের সন্তানেব মুখখানির সাথে, কেউ তুলনা করেছে ঝলসানো রুটির সাথে। বিখ্যাত জাপানিজ লেখক রিও মুরাকামি যেন কি বলেছিলেন....মনে পড়েছে! তিনি বলেছিলেন,
এই পুঁজিবাদী শহরের আকাশে এত বড় চাঁদ কাউকে ভাড়া না দিয়ে ঝুলছে কিভাবে!
আচমকা খাদিজার কথা খুব মনে পড়লো। আমিও চাঁদকে তুলনা করতে লাগলাম খাদিজার স্তনের সাথে। আনমনেই হেসে উঠলাম। পাশ থেকে খোঁচা মেরে রাইসুল বললো, "কি হইসে?"
"কিছু না।"
অটো যখন কৈলাপুর অতিক্রম করে যাচ্ছিল তখন রাস্তার একপাশে একটা ছেলেকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম। তার পরনে ফুলহাতা টি-শার্ট ও সাদা পায়জামা। গায়ে শাল জড়ানো৷ বেশ পেটানো দেহ।
তাকে দেখে চওড়া হাসি ফুটলো রাইসুলের ঠোঁটে। অবাক হলাম। অটো তার সামনে গিয়েই থামলো। দ্রুত ড্রাইভারের পাশের সিটে চড়ে বসলো সে। নিঃশব্দে আমাদের দুজনকেই সালাম ঠুকলো। আমি কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই মুখ খুললো রাইসুল।
"সাবের, এই হচ্ছে ইমন। এলাকার ছোটভাই।"
সঙ্গী বলতে বোধহয় একেই বোঝাচ্ছিল সে, ভাবলাম আমি। মন্দ কাজ করেনি আমার বন্ধু। ছেলেটাকে বেশ সুবিধারই মনে হচ্ছে। একাই তিন-চারজনকে মেরে তক্তা বানিয়ে দিতে পারবে। একটু ভয় হলো।
গাড়ি চলতে লাগলো হাজার বছরের পুরনো রাতের নীরবতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে।

লিলিথিয়ানWhere stories live. Discover now