পর্ব ১৭

209 2 3
                                    

১৭
---
যখন জ্ঞান ফিরলো তখন নিজেকে আবিষ্কার করলাম একটা অন্ধকারাচ্ছন্ন রুমে। সঙ্গে সঙ্গেই চোখ বন্ধ করে ফেললাম। পুনরায় ধীরে ধীরে খুললাম। অন্ধকার কিছুটা সয়ে আসতেই আশেপাশে তাকালাম। রুমটা ছোট না বড় তা বোঝা গেল না। আমি বসে আছি একটা বেশ শক্ত কাঠের চেয়ারে। 'বসে আছি' বললে শব্দের প্রতি অবিচার করা হয় অবশ্য। কেননা আমাকে বেঁধে রাখা হয়েছে। আমি কয়েকবার নিজেকে ছাড়ানোর ব্যর্থ চেষ্টা করলাম। একসময় স্থির হয়ে এলাম। মনে করার চেষ্টা করলাম যে ঠিক কি হয়েছিল।
নিচে যখন আমার কাঁধে কারো হাতের উপস্থিতি টের পেলাম, তখন আচমকা আমার সব নার্ভ বেশ সচল হয়ে উঠলো। দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলাম হয়তো। তখনই মাথার পেছনে শক্ত কিছু দিয়ে বারি দেয়া হয়। এরপরই জ্ঞান হারাই।
হুঁশ ফেরার পর নিশ্চয়ই আমার চিন্তা করা উচিত রাইসুল ও ইমনকে। কারণ এই দু'জন মানুষই এমুহূর্তে আমার আপন, আর কেউ নয়।
ইমন!
ছেলেটার কথা মনে পড়তেই চোখে ভেসে উঠলো তার করুণ পরিণতির দৃশ্যটা। সে বেঁচে আছে না মারা গেছে? আর তার উপর হামলা হলোই বা কিভাবে? এত দ্রুত!
খানিকক্ষণ ভাবলাম রাইসুলের কথাও। তাকে কোথায় রাখা হয়েছে? রুমের আশেপাশে তো তাকে দেখা যাচ্ছে না।
মনের আরেক কোণে ভেসে উঠলো খাদিজার কথাও। সে বলেছিল রাতে আমাকে কল করবে। কিন্তু কল করে যদি লাইনে না পায়...সে কি জেগে থাকবে আমার জন্য? নাকি ঘুমিয়ে পড়বে?
"কেউ আছেন! আমাকে বেঁধে রেখেছেন কেন?" কিছুক্ষণ চিৎকার-চেঁচামেচি করলাম। লাভের লাভ কিছুই হলো না। শুধুশুধু গলা শুঁকিয়ে গেল।
মিনিট দশেক পর করিডরে দুজন মানুষের পদধ্বনি শুনতে পেলাম। আমি চোখ তুলে তাকালাম। বুঝলাম যে আমাকে বাড়ির দোতলার কোনো রুমে আঁটকে রাখা হয়েছে। আমি যদি ভুল না হই, তবে এটা একটা বেডরুম। পদধ্বনিটা এগিয়ে আসছে। দুজন প্রবেশ করলো ঘরে। একজন বেশ বয়স্ক লোক। পরনে কালো কোট। তার পাশে একজন মধ্যবয়স্ক মহিলা। বয়ত হবে আনুমানিক ৩৩/৩৪। পরনে সাদা আলখাল্লা। অতিরিক্ত পাতলা কাপড় হওয়ায় মহিলার শরীরের দুধের ভাজ স্পষ্ট ফুটে উঠছে। হাসলাম আমি। এই জীবন নিয়ে দোটানার মাঝেও নারীদেহ আমাকে আকৃষ্ট করছে!
মহিলার হাতে একটা পানির গ্লাস। পাশ থেকে একটা চেয়ার টেনে আমার মুখোমুখি বসলেন বৃদ্ধ। তার ঘাড়ের পেছনে গ্লাস হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন মহিলাটি। লোকটা বললেন,
"কেমন আছেন গুরু?"
গুরু! পাগল হয়ে গেছে নাকি? বললাম,
"আমি কোনো গুরু নই।"
স্মিত হাসলেন তিনি। ইশারায় মহিলাটিকে কিছু বললেন। তিনি আমাকে পানি পান করালেন। বৃদ্ধ বললেন, "আপনিই আমাদের নতুন গুরু। স্পেশাল সার্ভেন্ট অফ গড্ডেস লিলিথ!"
"মানে কি!" চেঁচিয়ে উঠলাম আমি। "আমি কোনো গুরু নই। আমি একজন সাধারণ মানুষ!"
হো-হো করে হেসে উঠলো তারা দুজনই। হাসি থামিয়ে বললেন, "আপনার গোপনাঙ্গে কি তিনটা ছোট্ট তিল আছে?"
"মানে?"
চোখ দিয়ে আবারও মহিলাটিকে ইশারা করলেন তিনি। এবার মহিলা আমার সামনে হাঁটু গেঁড়ে বসলেন। মেয়েরা ব্লোজব দেয়ার আগে যেভাবে বসে অনেকটা সেভাবেই। এরপর হেঁচকা টানে আমার প্যান্ট খুলে ফেললেন। মহিলার শরীরে যে কি পরিমাণ শক্তি তা আন্দাজ করলাম। এরপর আমার ধন ধরে কিছুক্ষণ নড়াচড়া করলেন। ধনটা উল্টিয়ে ধরলেন। এরপর বৃদ্ধকে ইশারা করলেন। তিনি উঠে এসে সামনে থেকে দেখতে লাগলেন আমার ধন। এরপর আচমকা হাত তালি দিয়ে উঠলেন।
"ইয়েস! ইউ আর দ্য চুজেন ওয়ান, মাই বয়!"
"কি?"
"তুমি নিজেই দেখো।"
আমি নিচু হয়ে তাকালাম। সত্যি সত্যিই আমার ধনের নিচে তিনটা ছোট তিল আছে। কিন্তু সেটা নিয়ে ইনাদের মাতামাতির কিছু পেলাম না। জন্মদাগ তো সবারই থাকে। তিনি বলতে লাগলেন,
"ভালোমতো খেয়াল করো। তোমার ধনের এই প্যাটার্নটা বেশ রেয়ার।

লিলিথিয়ানWhere stories live. Discover now