পর্ব ১০

168 3 0
                                    

১০
---
পরদিন বেশ ভোরেই ঘুম ভাঙলো। এপাশ-ওপাশ করতে গিয়েই দেখলাম যে আমার পাশেই হাত-পা ছড়িয়ে বেঘোরে ঘুমাচ্ছে রাইসুল। আমাদের পরনে কোনো জামা নেই। সম্ভবত আমি ঘুমিয়ে যাবার পর সেও চুদেছিল মেয়েটাকে।
ফ্রেশ হতে বাথরুমে ঢুকলাম। জামাকাপড় বদলে বারান্দায় এসে সিগারেট ধরালাম। কয়েক টান দিয়ে ঝিম মেরে থাকা মাথাটা খালি করলাম। অনেক কষ্টেও গতরাতো চোদা মেয়েটার নাম মনে করতে পারলাম না৷ হয়তো নামই বলেনি, তাই না?
অবশ্য নাম দিয়ে কি হবে? দুধ আছে, ভোদা আছে। চোদা খাবে, বাড়ির কাজ করবে। এটাই তো তার কাজ। আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে দূরে তাকালাম। বাঁশঝাড় ভেদ করে ঘন ঝোপঝাড়ের দিকে দৃষ্টি খেলা করতে লাগলো। দিনের বেলা জায়গাটাকে যতটা সুন্দর দেখায়, রাতে ঠিক ততটাই ভয়ঙ্কর দেখায়। আমি সিগারেটে শেষ কয়েক টান দিয়ে তা ছুঁড়ে ফেললাম। নিচে তাকিয়ে দেখলাম উঠানে রান্নাবান্নার কাজে ব্যস্ত বাড়ির লোকজন। পুরুষ কাউকে দেখলাম না। সবাই হয়তো কাজে চলে গেছে। লক্ষ্য করলাম উঠানের একপাশে কুঁচি কুঁচি করে আলু কাটছে সেই মেয়েটা, যাকে গতরাতে চুদে ফানা ফানা করলাম। চোখাচোখি হতেই মুচকি হেসে দৃষ্টি নামিয়ে কাজে মনোযোগ দিলো সে। আমি আনমনেই হাসলাম।
গোলাপি সালোয়ার কামিজ, মাথায় ঘোমটা ও মনোযোগী ছাত্রীর মতো আলু কাটতে থাকা এই মেয়েটাকে দেখলে কে বলবে যে গতরাতেই সে আমার ধনের পূজা করছিল....ললিপের মতো চুষছিলো আমার সর্বস্ব। দেখে বোঝার জো নেই গতরাতেই তার দুপা ফাঁক করে রামঠাপ মারছিলাম। হঠাৎ আমার কি যেন হলো। ছুটে গিয়ে চার্জার থেকে ফোনটা খুলে আমার রুমমেট শফিককে কল দিলাম। দুবার রিং হতেই ওপাশ থেকে তার কণ্ঠস্বর ভেসে এলো, "কি অবস্থা সাবের? রংপুর কেমন ঘুরছিস?"
আমি দ্রুত প্রশ্নটা করলাম, "খাদিজা কেমন আছে রে?"
ওপাশ থেকে খানিকক্ষণ কোনো জবাব এলো না। এরপর সেটাই ভেসে এলো যেটার আশা করেছিলাম। হো-হো করে হেসে উঠলো সে। বললো,
"খাদিজার ভোদা গ্রামে যাইয়াও ভুলিস নাই শালা!"
ইচ্ছে করলো স্ক্রিনের ভেতর হাত ঢুকিয়ে মাদারচোদের দুই গালে দুইটা থাপ্পড় বসাই। বহুকষ্টে রাগ দমন করে বললাম,
"ফাইজলামি না দোস্ত। সিরিয়াসলি প্রশ্ন করসি।"
"ওহ আচ্ছা।" একটু সিরিয়াস শোনালো শফিলের কণ্ঠ। "খাদিজারে রবিন চুদতেসে এখন৷ তাও কোনো বেডরুমে না। ডাইনিং টেবিলে, হাহাহা..." খিকখিক করে জান্তব হাসি হাসতে লাগলো সে। আমি কল কেটে দিলাম।
টি-শার্টের উপর সোয়েটার চেপে নিচে নেমে এলাম। বাড়ির মহিলারা উঠানে বসে কাজকর্ম করছে ও জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছে। ইচ্ছে ছিল পুকুরপাড়ে মিনিট দশেক হেঁটে আসতে। কিন্তু আবহাওয়ার করুণ অবস্থা দেখে সেই চিন্তা থেকে বাদ দিলাম।
আশেপাশে বুলিয়ে মনে হলো এখন দুপুর না, যেন ভরা সন্ধ্যা। দুহাত দূরের জিনিসও ঝাপসা মনে হয়। আমি হাই তুলে বাড়ির মূল দরজার সামনের সামান্য পাকা জায়গাটায় দাঁড়িয়ে রইলাম। আমার দুহাত সোয়েটার ভেতর। হুহু করে ভেসে আসা ঠান্ডা বাতাসে গা'টা কেঁপে উঠলো।
দেখতে পেলাম মহিলাদের কারো কারো পরনে কেবল শাড়ি। কারো পরনে সালোয়ার কামিজ। কেউই সোয়েটার জাতীয় কিছু পরেনি। বেশ অবাক হলান। এদের কি শীত করে না?
"রাইসুর বন্ধুরে একটা চেয়ার দে।" হাঁক ছাড়লো এক বৃদ্ধা। তাকে ঘিরে বসে আছে বাড়ির বউঝিরা। সেখানে ইয়াসমিন ভাবী, জরিনা ভাবী ও রুপালী ভাবী। তাদের দেখে বুকটা ছলাৎ করে উঠলো। কি অপরূপা দেখতে ইনারা!
সফা নামের কাজের ছেলেটা আমাকে একটা চেয়ার দিয়ে গেল। আমি তাতে বসলাম৷ মিনিট পাঁচেক সে এক কাপ চা ধরিয়ে দিয়ে চলে গেল। চায়ে চুমুক দিয়ে আমি ঘাড় ঘুরিয়ে বাড়িটাকে দেখতে লাগলাম। কান ঘেঁষে ভাঙা ভাঙা কিছু কথা ভেসে যেতে লাগলো আমার। শব্দের উৎসের দিকে তাকাতেই দেখলাম যে বউঝিদের মধ্যমণি হয়ে বসে থাকা বৃদ্ধাটি বেশ আমোদিত ভাবে কিছু একটা বলছে সবাইকে। তারা তন্ময় হয়ে কথাগুলো শুনছে।
আমি চায়ের কাপটা নিয়ে সেদিকে এগিয়ে গেলাম।
বৃদ্ধা মহিলাটি রাইসুলের দাদি। বয়স প্রায় ৯০+। তবে এখনও ঠাটবাট বিন্দুমাত্র কমেনি। গলায় এখনও স্পষ্ট ফুটে উঠছে কর্তৃত্বের সুর।
মাটিতে বেশ মোটা কাপড়ের একটা তোশক বিছানো। সেখানেই বসে আছেন। তার মাথায় তেলের মালিশ করছেন রাইসুলের মামা।
আমি কাছাকাছি যেতেই ভাবীরা কিছুটা সরে বসার জায়গা করে দিলো। সুন্দরী নারীদের মাঝখানে বসলে শরীরে উষ্ণ ভাব জেগে ওঠে। আমারও তেমনই হলো। ভাবীদের গা থেকে ভেসে আসা কোমল উষ্ণতা বেশ ভালোভাবেই অনুভব করলাম।
দাদি আমার দিকে তাকিয়ে হাসলেন। বললেন,
"তোমার নামই কি তাইলে সাবের?"
"জ্বি দাদি।" একটু থেমে জিজ্ঞেস করলাম, "আপনি কি এখানে গল্প বলছেন?"
আমার প্রশ্ন শুনে পাশে বসা তিনজনই ভাবীই খিলখিল করে হেসে উঠলো। বিব্রতবোধ হলো।
কিছুটা হাসি মিশ্রিত ধমকের সুরে দাদি বললেন,
"হাসিস না মাগিরা! ফুলায় বুইঝতে ফরেনি।" বলে ফোকলা দাঁতে হাসলেন।
সোজা হয়ে বসে বললেন, "কুনো গল্প করতেসি না আমি। বউগুলারে শিখাইতেসি যে ক্যামনে সোয়ামির মন জিততে হয়।"
ফ্লার্টিং'য়ের সুযোগ কখনোই ছাড়ি না আমি। "এমন সুন্দরী বউ থাকলে মন জয় করতে বেশিকিছু করা লাগে না।"
সবাই একযোগে হেসে উঠলো। তাকিয়ে দেখলাম ইয়াসমিন ভাবী আড়চোখে তাকিয়ে আছেন আমার প্যান্টের দিকে। আরো ক্লিয়ারলি বললে, ধনের দিকে। এরপর তিনি জরিনা ভাবীর কানে কানে কি যেন বললেন। মুখ টিপে হাসলেন। ব্যাপারটা বেশ অস্বস্তিকর। লজ্জায় লাল হয়ে গেল আমার গাল। ঘটনা এখানে শেষ হলেও পারতো। কিন্তু উনারা তিনজন মিলেই একই কাজ বারবার করতে লাগলো।  যারপরনাই অবাক হতে থাকলাম। আশেপাশে এত মানুষের সামনে ভাবীরা এমন কাজ করার সাহস পাচ্ছেন কিভাবে? সামনেই রাইসুলের দাদি ও মা! ধরা পড়লে কি হবে?
আমি স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করলাম। আমার কান থেকে যেন গরম ধোঁয়া বেরুতে লাগলো। তখনই অতি অপ্রত্যাশিত ঘটনাটা ঘটলো। আমার কানের কাছে ফিসফিস করে রুপালী ভাবী বললেন,
"এত ঘামছো ক্যান ভাই?"
তার কণ্ঠে কিছু একটা ছিল, যা আমার ঘুমন্ত ধনকে মৃদু নাড়িয়ে দিয়ে গেল। আমি তড়িৎগতিতে ঘুরে তাকালাম তার দিকে। তারা তিনজনই হাসছে।
কাবাব মে হাড্ডি-এর মতোন কোত্থেকে যেন উদয় হলেন রাইসুলের বাবা, রমিজ আঙ্কেল। তিনি হাঁক ছেড়ে ডাকলেন আমাকে।
"সাবের ব্যাটা! মাইয়ামাইনষের লগে বইয়া কি হরো? এইহানে আহো।"
আমি প্রায় লাফিয়ে উঠে উনার কাছে চলে যাই। পাছে ভয় হচ্ছিল যদি ভাবীদের সাথে আমার এসব খুনসুটি কেউ দেখে ফেলে!
আমার কাঁধে প্রশংসা করার কায়দায় হাত রেখে জোরে দুটো বারি মারেন তিনি। বলেন,
"চলো ব্যাটা, মাছ ধরতে যাই।"
এই সাতসকালে পানি গায়ে লাগানোর বিন্দুমাত্র ইচ্ছা আমার নেই। উনি বড় মানুষ। মুখের উপর তো আর না করা যায় নাই। তাই আমতা-আমতা করছিলাম। তবে মাঝপথেই আমাকে থামিয়ে তিনি বললেন, "আরে সলো! ভাল্লাগবো। রাইসু তো মগা। সারাদিন খায় আর ঘুমায়। কাইজকামে নাই। তুমি চলো মাছ ধরতে।"
একপ্রকার বাধ্য ছেলের মতো উনার সাথে রওনা হলাম ঘুটপুকুরি নদীর ঘাটে।

লিলিথিয়ানWhere stories live. Discover now