পার্ট - ১৯

345 15 0
                                    


ফারান একনাগারে বলতে লাগল আর আমি হা শুনতে লাগলাম।
....... কারন আমি পাগল হয়ে যাচ্ছিলাম। মনে হচ্ছে তোমাকে যদি একটু খানি না দেখি তাহলে মরেই যাব। রুমে ঢুকতেই তোমার মিষ্টি গন্ধ টা আমাকে অভিবাদন জানাতে লাগল। আর আমি অভিবাদন গ্রহন করলাম। তোমার চুলে মন ভরে গন্ধ নিয়েছিলাম। কিন্তু তুমি ভয় পেয়েছিলে। মনে করেছিলে যে আমি তোমার ক্ষতি করবো। কিন্তু আমি কখনোই তোমার কোন ক্ষতি করতে পারিনা। তাই তো তুমি বাথরুমে ঢুকে গিয়েছিলে। আমার এত কষ্ট হয়েছিল। আমার মনে হচ্ছিল সব ভেঙে ফেলে দিই। কিন্তু না। আমি এরকম করতে পারিনা। কারন আমি তোমাকে ভালোবাসি।
.আমি চাইনা তুমি আমাকে ভয় পাও। আমি চাইতাম তুমিও আমাকে ভালবাসো। আমি আবার আমার আব্বুর কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা বলছিল তুমি নাকি মিডল ক্লাস মেয়ে। ফ্যামিলি স্ট্যাটাস নেই। নিজস্ব ঘর পর্যন্ত নেই। তাই ওরা মানতে চাইল না। ওরা কি আমার খুশি দেখতে চাই না?? আমার প্রচুন্ড রাগ হচ্ছিল। আমার মোহিনী কে আমি পাব না ভাবতেই কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু ওই দিন তুমি আসো নি। আমি কি করব বুঝতে পারছিলাম না। কিন্তু ওরা আমাকে সাইকো বলে ঘুম পাড়িয়ে রাখতে চাইত। আমার তোমাকে দেখতে খুব ইচ্ছা স্বপ্নেও আমি তোমাকে দেখতাম। একদিন তুমি এসেছিলে। আমাকে স্পর্শ করেছিলে। আমি বুঝতে পেরেছিলাম। সেটা তুমি। কারন তোমার মিষ্টি গন্ধ টা আসছিল। কিন্তু আমি চোখ খুলতে পারছিলাম না। আমার কষ্ট হচ্ছিল। আমি তোমার কোমল হাত ধরেছিলাম। কিন্তু তুমি চলে গিয়েছিলে। আমার মন ছিল না আর কিছু। কিন্তু যখন চোখ খুললাম তখন তোমাকে দেখতে খুব খুব ইচ্ছা হচ্ছিল। আর যদি সবাই জানত যে আমি উঠেছি তাহলে আমাকে আবার ঘুম পাড়িয়ে রাখত। তাই কাউকে না জানিয়ে তোমাকে খুজতে লাগলাম। আর পেয়েও গেলাম। তুমি আমার দেয়া গাউন পড়েছিলে। তোমাকে দেখতে হুরের মত লাগছিল। আমার ভীষন তোমাকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছা হচ্ছিল। কিন্তু মারোয়া বলছিল আমি যেন তোমাকে ছেড়ে দিই। দেখ মারোয়া পর্যন্ত আমাদের আলাদা করতে চাইছিল। আমি কি তা হতে দিতে পারি?? তোমার হাতে মেহেদি আকা ছিল। এত সুন্দর লাগছিল কি বলার মত না। কাচা মেহেদির খুশবু আসছিল। আমি মনে ভরে চুমু খেলাম ওই হাত দুটো তে। কিন্তু সবাই এসে আমার কাছ থেকে তোমাকে নিয়ে নিল। আমার ফুপি!! সেও বুঝল না যে আমি তোমাকে কত ভালোবাসি। আমি তাকে অনুরোধ করছিলাম যে তোমাকে যেন আমাকে দিয়ে দেয়। কিন্তু ফুপি রাজি হচ্ছিল না। এরপর ওরা তোমাকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে গেল। আমি চাইছিলাম না তুমি আমার কাছ থেকে দুরে সরে যাও। কিন্তু ওরা আমাকে আবার জোর করে ঘুম পাড়িয়ে রাখছিল। এর ফাকে তোমাকে না জানি কোথায় দিয়ে আসল। আমি তন্ন তন্ন করে তোমাকে খুজছিলাম। কিন্তু সেটা যদি বলতাম তাহলে কেউ আমাকে তোমার কথা বলত না। তাই আমি গোপনে কাজ চালিয়েছি। একসময় তোমার ফোন নাম্বার পাই। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয় নি। আমি পরে খোজ নিয়ে ছিলাম যে তুমি মারোয়া কে পড়াতে। তাই ফুপির খোজ খবর নিতে শুরু করলাম। খবর পেলাম তুমি প্রতিদিন মারোয়া কে পড়াতে আস। আমি এক মুহুর্তও দেরি করতে চাইলাম না। তোমাকে পেয়েও ছিলাম। কিন্তু মামুন মাঝখানে চলে এলো। এজন্য তাকে শেষ করে দিলাম। এরপর তোমার আমার মাঝে ফুপি এলো। আমাদের মাঝে কেউ আসতে পারবেনা। সে যে কেউই হোক। তাই ফুপি কেও সরিয়ে দিলাম। তোমার আব্বুও আসতে চেয়েছিলো তাই তাকেও সরিয়ে দিলাম। কারন আমি তোমাকে ভালোবাসি। আর আমার কাছ থেকে কেউ যদি তোমাকে সরিয়ে নিতে চাই তাহলে তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেবো।
.
আমি এতক্ষন হা করে শুনছিলাম। আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না ফারানের কথা। প্রথমে আমার খুব ভালো লাগছিল ওর কথা শুনে। মনে হচ্ছিল ও আমাকে সত্যি ভালোবাসে। কিন্তু পরে তার কথায় বুঝতে পারলাম তার ভালোবাসা সত্যিকারের ভালোবাসা না। আমার চিন্তা হচ্ছিল সবার জন্য। প্রচুন্ড ভয় লাগছিল ফারান কে। না জানি বাড়িতে কি করে বসবে। এটা অস্বাভাবিক, অসুস্থ ভালোবাসা। এরকম ভালোবাসা শুধু আমি না পৃথিবীর কোনো মেয়েরই কাম্য না। আমি বললাম
..... চলুন দেরি হয়ে যাচ্ছে। আজকে আমাদের বিয়ে না?
..... হ্যা চলো। আজকে তুমি আমার হয়ে যাবে। 
ঘন্টা দেড়েকের মধ্যে বাড়ি পৌছে গেলাম। এর মধ্যে আমি আর ফারানের মধ্যে কোন কথা হল না। শুধু ওর বলা কথা গুলো মনে পড়ছিল। 
গাড়ি যখন বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করল তখন আমাদের বাড়ির মধ্যে লোকজনের আনাগোনা পাচ্ছি লাম। কি হয়েছে? খারাপ কিছু হয় নি তো?? গাড়ি থেকে নেমে দ্রুত এগিয়ে গেলাম। ফারানও আমার সাথে সাথে আসছিল। ভীড় এড়িয়ে উঠানে দেখলাম আম্মু বিলাপ করছে। আশে পাশের মহিলারা আম্মু কে সামলানোর চেষ্টা করছিল। রিফাত ও নিঃশব্দে কান্না করছিল। কি হয়ছে?? আমি এবার সামনে তাকালাম। সামনে পাঠি বিছানো। সেখানে কেউ একজন সাদা কাপড়ে মোড়ানো। চারদিকে ছেলে মেয়েরা কোরআন তেলাওয়াত করছে। আমার বুক কাপতে শুরু করল। বাতাসে সাদা কাপড় খানি একটু একটু সরে যাচ্ছিল। আমি দেখতে পেলাম। আব্বু!!!
আমার আব্বু শুয়ে আছে সাদা কাপড়ে। আমি পুরা দুনিয়াটা হেলে উঠল। আমি চিৎকার দিয়ে আমার আব্বুর কাছে যেতে চাইছিলাম। কিন্তু কেউ যেন আমার হাত ধরে ফেলল। আমাকে যেতে দিচ্ছিল না।
....... আমাকে ছাড়ো। আমি আমার আব্বুর কাছে যাবো।
...... না মোহিনী। তুমি আমাকে ওয়াদা করেছিলে তুমি আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না।
...... আমার আব্বু ওই খানে শুয়ে আছে আর আপনি আপনার ওয়াদার কথা চিন্তা করছেন?? নিকুচি করি আপনার ওয়াদার। আমি আমার আব্বুর কাছে যাব।
..... না! চলো এখান থেকে। 
..... আমি যাবো না আপনার সাথে।
ফারান আমাকে জোর করে নিয়ে যেতে চাইছিল কিন্তু ইতিমধ্যে রিফাত আর আম্মুর চোখ আমার দিকে পড়ল। রিফাত এগিয়ে আসল। সাথে আশে পাশের মানুষরা। ফারান সবাই কে হুমকি দিচ্ছিল যে সে একজনকেও ছাড়বেনা। সবাই ভয় পেয়ে ছেড়ে দিতে চাচ্ছিল কিন্তু মামুন কোথ থেকে এসে ওকে ধরল। আর সাহস পেয়ে আশে পাশের মানুষরা ধরল। আমি ওই দিকে নজর না দিয়ে আমার আব্বু কাছে গেলাম। আমার আব্বু কথা বলছেনা, নিশ্বাস নিচ্ছে না। আমি আব্বু কে ডাকলাম সাড়া দিল না। আমার আর সহ্য হল না। মনে হল সব আমার দোষ। আমার জন্যে আমার আব্বু আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। চারপাশেরর সবকিছু অন্ধকার মনে হল। এরপর আর কিছু মনে নেই। তবে কথা গুলো কানে আসছিল। সবাই রেনুমা পড়ে গেলো রে রেনুমা পড়ে গেলো রে বলে চিৎকার করতে লাগল। এরপর সবাই আমাকে কোথাও নিয়ে যেতে লাগল আর কিছু শুনতে পেলাম না।
যখন হুশ ফিরল তখন বিছানায় শুয়ে। আমাদের পাশের ঘরের মহিলাটা আমার মাথায় পানি ঢালছিল। ঘরে মধ্যে আগের মত হৈ চৈ না থাকলেও এখনো মরাকান্না শোনা যাচ্ছিল। আমি উঠতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু মাথা ঝিম ঝিম করছিল। আমি ওই মহিলাকে জিজ্ঞেস করলাম
..... আমার আম্মু কই??
..... আছে ওই রুমে।।
রিফাত আসল। অনেক শুকিয়ে গেছে এই কয়েকদিনে। চোখ দুটো ক্রমাগত কান্নার ফলে লাল হয়ে আছে। সে এসে আমাকে ধরে তুলল। তারপর আম্মুর কাছে নিয়ে গেল। ওই খানে আম্মু শুয়ে আছে। খাবার দেওয়া হয়েছে। খাবার কোথ থেকে এলো?? আম্মুর এই অবস্থায় এত সব রান্না করা সম্ভব না। আম্মু খাচ্ছেনা। আমারও খেতে ইচ্ছা হচ্ছিল না। কিন্তু রিফাতের জোরাজুরি তে খেয়ে নিলাম। ইতিমধ্যে ঘরের সবাই চলে গেছে। আব্বু কে এলাকার মসজিদ এর পাশে কবর দেওয়া হয়েছে। আমি এখনো জানি না যে আব্বুর কি হয়েছিল। রিফাত কে জিজ্ঞেস করলাম। সে বলল
...... তুই জানিস না কি হয়ছে?? তোর সামনেই তো হল!!
...... মানে??
......যেদিন তুমি আর আব্বু গেছিলে মেডিকেলে ওই দিন ওই লোকটা আব্বু কে কেমন করে মারছে দেখো নাই??
এই কথা শুনে আমি নিস্তব্ধ হয়ে গেলাম। আমার দোষে আজ আমার আব্বু এই দুনিয়াতে নাই। ওইদিন আব্বু কে মেরেছিল ফারান। ছি!! এই লোকটার জন্য তার মায়া জন্মেছিল। এখন প্রচুন্ড ঘৃনা হচ্ছে। আমার দুচোখ বেয়ে পানি পড়তে শুরু করল। রিফাত আবার বলতে লাগল
..... পুলিশের ফোন আসায় আমি আর আম্মু গিয়েছিলাম। সেখানে আব্বুকে ভর্তি করানো হয়েছিল। আব্বুর অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। মাথায় আঘাত পেয়েছিল। দুই দিন হুশ ছিল না। এর মাঝে আমরা পুলিশের সাথে তোর খোজ করেছি। ওই লোকটার বাড়িতেও গিয়েছি। কিন্তু ওই লোকটা একটা পাষন্ড সীমার। সে হাসপাতালে নাকি নিজের বাপকেও নাকি ছয় তলা বিল্ডিংয়ের উপর থেকে ফেলে দিয়ে মেরে ফেলেছে। ভয় ছিল তোকে নিয়ে। না জানি তোকে কি করছিল। কাল রাতে আব্বুর হুশ আসে। সে তোকে বাচাতে বলে আমাদের সবাই কে ছেড়ে চলে গেল। 
রিফাতের গলা ধরে এলো। সে চোখের পানি আটকাতে পারছিল না। কারন তাকে একলা সব কিছু সামাল দিতে হয়েছে। আমি জানতাম না এত কথা। এখন শুধু ফারানের জন্য ঘৃনা ছাড়া আর কিছু জন্মায় না। 
আমি রিফাত কে জড়িয়ে ধরলাম। সে আমার কোলে মাথা রেখে কাদতে লাগল। কি পাপ করেছিলাম যে এতকিছু সহ্য করতে হচ্ছে?? সব আমার দোষে। ইশ!! সেদিন যদি......
যদি!! বেলি ফুল গুলো মাথায় না লাগাতাম
যদি!! মারোয়া কে পড়ানোর জন্য হা না বলতাম
যদি!! মারোয়ার কথা না শুনতাম
যদি!! ওই বিয়েতে না যায়তাম
যদি!! ওই দিন দরজা না খুলতাম
তাহলে আজ আমার আব্বু জীবিত হইত। আরো অনেক মানুষ জীবিত হইত। আমি আমার স্বাভাবিক জীবনে থাকতাম। সব আমার দোষ।
এ কথায় কান্না আসতে লাগল। কিন্তু চোখ থেকে পানি পড়ল না। চোখের পানি শেষ হয়ে গেছে কাদতে কাদতে।। 
অনেকক্ষণ বসে ছিলাম এইভাবে। দরজায় করাঘাত হতেই আমি দরজা খুললাম। মামুন এসেছে। মামুন কেন আসল?? আর ওর হাতে এইসব কি?? সাথে একজন হুজুর টাইপের মানুষ। আমি ভাবতেছিলাম। মামুন বলল
..... আসতে দিবা ভেতরে?? নাকি এইখানে দাড়ায় থাকবো??
আমি সরে গেলাম। আমার পিছন পিছন রিফাতও আসছিল। রিফাত মামুন কে সব রেডি কিনা জিজ্ঞেস করছিল। মামুন ও সব রেডি বলে সায় দিল। আমি ওদের দিকে তাকায় ছিলাম। কিছু বুঝতে ছিলাম না কি হচ্ছিল। রিফাত আমাকে বলল
...... আপু তোর সাথে কথা আছে। আম্মুর রুমে চল।
..... কি কথা??
..... আগে চল না।
আমি গেলাম আম্মুর রুমে। আম্মুও উঠে বসছিল। এমনকি মামুন ও এসে সোফায় বসল। আমি প্রশ্ন বিদ্ধ চোখে রিফাতের দিকে তাকালাম। রিফাত বলল
...... আপু আমরা তোর বিয়ে ঠিক করেছি।
আমার মাঝে যেন বিষ্ফোরন ঘটল। আমি চিৎকার দিয়ে বললাম
...... পাগল হয়ে গেছিস তুই??
....... আপু শান্ত হও। আমার কথাটা বুঝ।
..... কি বুঝব?? কি বলতে চাস??
এবার মামুন বলে উঠল।
.... রেহনুমা তুমি শান্ত হয়ে বস আর রিফাত কি বলছে তা শোন।
আমি আম্মুর দিকে তাকালাম। আম্মুরও তাই মত। তাই বসলাম। রিফাত বলতে লাগল।
..... আমরা তোর বিয়ে ঠিক করেছি। আজ রাত এবং এখন হবে মামুন ভাইয়ের সাথে।
আমি অবাক হয়ে গেলাম। মামুনের দিকে তাকালাম। সে সায় দিচ্ছে মানে সে রাজি?? মামুন কে আমি আগে থেকে পছন্দ করতাম। কিন্তু ব্যাপরটা এত দুর পর্যন্ত ভাবি নি। তাই আমি বললাম
...... আমি রাজি না। আমি উনাকে বিয়ে করতে পারব না।
এবার আম্মু বলে উঠল
....... কেন পারবি না? ওই পাগলের জন্যে!! যে তোর বাপকে খায়ছে, নিজের ফুপি কে খায়ছে, তোর জীবন নষ্ট করছে তার জন্যে?? যা করগে তাকে বিয়ে তবে এই খানে আর যেন তোকে না দেখি। 
রিফাত বলে উঠল
...... আম্মু তুমি একটু চুপ কর।
রিফাত আমার দিকে তাকিয়ে বলল
..... আমি কিছুই করতে পারি নি। মামুন ভাই আমাকে সাহায্য করেছিল। এখানে জমিদার আমাদের বের করে দিচ্ছিল। মামুন ভাই বাচিয়েছে। সেই তোকে বিয়ের কথা বলছে। এতে তোর ভবিষ্যত ঠিক হবে। ওই পাগল কখন কি করে তার ঠিক নেই। আমি কিছুই করতে পারতাম না মামুন ভাই ছাড়া। আমরা ওই লোকটা থেকে প্রতিশোধ চাই। আমার আব্বু মৃত্যুর, মামুন ভায়ের মায়ের মৃত্যুর, তোর জীবন বরবাদের প্রতিশোধ চাই। আর এ জন্যে তোকে বিয়ে করতে হবে।
আমি কিছু বলতে পারলাম না। কেননা মারোয়ার আম্মুর জন্য। রিফাত বলেছিল যেই দিন আমাকে নিতে ফারান মামুনদের ঘরে গিয়েছিল। কিন্তু মামুন আমাকে পালাতে সাহায্য করায় ফারান মামুন কে মারতে চেয়েছিলো। কিন্তু মামুনে মায়ের জন্য তা সম্ভব হয় নি। আর অাঘাতটা মামুনের মায় পেল। উনাকে জোরে লাঠি দিয়ে আঘাত করায় উনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেদিন রাতেই মৃত্যু বরন করেন। আর এই জন্যই মামুন ওই দিন আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করছিল।
এত কথার পর আমার আর কিছু বলার রইল না।
.
(চলবে)

মোহিনীWhere stories live. Discover now