পর্ব - ০৮

41 4 0
                                    

কপালে পট্টি। মুখে থার্মোমিটার নিয়ে আমি বিছানায় আধশোয়া।
চেকআপ করে,
ডাক্তার আঙ্কেল চলে যাচ্ছেন। সাথে গেলেন চাচ্চুরা

আর বাবা। বাকি সকলেই রুমে উপস্তিত। না চাইতেও চোখ যাচ্ছে
তন্ময় ভাইয়ের দিক। সে রুমে ঢুকেন নি। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে।

সাধারণত সে আমার রুমে আসেন না। মনেও নেই সে শেষ কবে,
আমার রুমে প্রবেশ করেছেন। রেস্টুরেন্টে তার স্পর্শ, আমাকে তার
বাইকে উঠানো, আমার আর তার ছবি ব্যবহার করা। কেমন অদ্ভুত
লাগছে।

সে কী আমায়। না না। ভাবতেও শরীর শিরশির করছে।
আমাকে? আমাকে কীভাবে পছন্দ করবেন। হতেই পারেনা। তাহলে
তার এমন করার কারণ? রুবি আপু , দীপ্ত, রবিন ভাই আছেন, কোথায় তাদের সাথে তো এমন করেননি।

সে আমায় ভাইয়ের চোখে দেখলে কী,
কোমরে স্পর্শ করতেন? এভাবে ধীর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি'তে তাকাতেন?

ভাবনায় ছেদ পড়লো দীপ্তর কথায়,
--' বলছি, কুনাল ভাইয়ার বিয়েটা জ্বরের সাথে দিয়েই দাও। তখন
হয়তো জ্বরের কিছুটা মায়া হবে, আর কুনাল ভাইয়াকে কয়েকদিন
পরপরে জ্বর থেকে মুক্ত দিবে।'

রুবি আপু হাসতে হাসতে শেষ। মনে হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড়
জোক্স বলেছে দীপ্ত। হাসতে হাসতে জবাব দিলো,
-- বোকা৷ জ্বরের সাথে কুনালের বিয়ে দিলে, তখন জ্বর চব্বিশ ঘণ্টাই
রইবে। কারণ তখন কুনাল হবে জ্বরের একমাত্র সুন্দর জামাই। চোখে না
হারাবে।'
ছোট চাচী ধমকে দিলেন,
দীপ্ত, পড়াশোনা শেষ হয়েছে?'
-' না তো।'
I
--' তাহলে মাইর খাওয়ার আগে যা।
দীপ্ত যাচ্ছেনা। বরং আকুতি স্বরে বলল,
--' মাত্র রাত বারোটা। সকালে বাকি পড়া শেষ করবো।

আমি আসছি। যদি দেখি তুই বিছানায় এখনও নেই। দেখবি তোর
অবস্থা

দীপ্ত দৌঁড়ে চলে যাচ্ছে। আর এদিকে আমার খেয়ালই নেই যে, আমি
তন্ময় ভাইয়ের দিক তাকিয়ে। সে ডান ভ্রু উঁচু করে আছে। দ্রুত
অন্যপাশে তাকালাম। কী লজ্জাজনক। প্রচন্ড অদ্ভুত লাগছে। অদ্ভুত
সব অনুভূতি। বুকের ধুকপুক বেড়ে চলেছে। রবিন ভাই যাওয়ার
আগে বললেন,
-' ঔষধ খা ঠিকমতো জ্বরের রাজা।'
সে যেতেই তার কিছুক্ষণের মাঝে তন্ময় ভাইও চলে গেলেন।
বড় মা জোরপূর্বক স্যুপ খাওয়ালেন। মা ঔষধ খাইয়ে রুমের বাতি
নিভিয়ে দিলেন। মাথায় হাত বোলানেন,
--' ঘুমিয়ে যা। '
--' ঘুম আসছেনা মা।'
' আসবে। কিছুক্ষণ চোখ বুঝে থাক। আমি যাই কাজ আছে।'

চাচাতো ভাই যখন রোমান্টিক লাভার (সিজন ০১) Where stories live. Discover now