পর্ব - ১৭

31 3 0
                                    

বন্ধুদের রেখে রুমে গিয়ে বসে? ড্রয়িংরুমে বসেও তো কফি খাওয়া
যায়, তাই না? ওহ হ্যাঁ। তাঁর তো আবার রোগ রয়েছে, পরিষ্কার
পরিচ্ছন্নতার। বাহির থেকে এসেছেন যে। আপাতত গোসল করবেন।
তারপর বেরোবেন । কত কাহিনি।

আমি কফি দিয়ে রফাদফা হয়ে
যাব। এমন আনরোমান্টিক লোকের সাথে থাকব না। একটু হেসে
মিষ্টি করে কথা বললেই তো হয়। সেটাও করেনা। উনি নাকি আবার
আমাকে পছন্দ করেন। ইশ, ছাঁই করেন। তাঁর কোন অঙ্গভঙ্গী'তে
মনে হয় সে আমাকে পছন্দ করেন? মুখে তো কিছু বলেই না। আর

ইশারা তো আরও আগে না। ওই একটু আধটু তাকিয়ে থাকেন। ব্যস।
হয়ে গেলো তাঁর। অদ্ভুত।
আপাতত তার রুমের সামনে দাঁড়িয়ে। ভাবছি, পারমিশন ছাড়া যাবো
নাকি? পারমিশন লাগবে কেন? তাঁর আছে'টা কী? আমি
ঢুকলাম।
তন্ময় ভাই নেই। গোসলে। আমি ধীরে তাঁর রুমে পায়চারী শুরু
করলাম।

টেবিলে বড়বড় বুকস পড়ে৷ এমনেই কী তাকে ব্রিলিয়ান্ট বলা হয়।
এগুলো'ই পড়েন বুঝি। বইয়ের মাঝে মাঝে ট্যাগ লাগানো ' ইউ হ্যাভ
টু ফিনিশ ইট তন্ময় '। আমি হেসে ফেললাম। পারেও বটে।
কিছু স্কেচ পেলাম। বাড়ি,ঘর, দালান হাবিজাবি আর্ট করা। আমার
কাছে তো হাবিজাবিই লাগছে। হয়তো তার কাছে গুরুত্বপুর্ন।
অবশ্য আর্ট করতে তিনি খুব ভালো পারেন। দীপ্ত, রুবি আপুর
এসাইনমেন্টে আগে তন্ময় ভাই সাহায্য করতেন। কোনো কিছু আর্ট
করতে হলে, তার কাছেই আসা হয়। আমি আসতাম না বাবা।
তাকে আমার যা অপছন্দ ছিলো, আসার প্রশ্নই উঠত না।
লাস্ট স্কেচটি'তে নজর আটকালো। পৃথিবীর সকল আকর্ষণ
আসলো স্কেচটি'র উপর। একটি ছেলের স্ট্রাকচার আর্ট করা।
উপরের কর্নারে ছোটছোট অক্ষরে লিখা' প্রীয়তম'।

ভালভাবে নজর বোলালাম। স্যান্ডো গেঞ্জি আর টু কোয়ার্টারস পড়ে রয়েছে ছেলেটি। ঠিকঠিক যায়গায় কয়েকটা ছোটছোট তিল ব্যবহার করেছেন।
যেমন কানের লতিতে। থুতনির নিচে। অদ্ভুত লাগলো গলার বিশেষ
কিছুটা নিচের তিল দেখে। এমন ভাবে নজর রেখে আর্ট করেছে?
লোকটা কার ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। হঠাৎ, দ্রুত
স্কেচ নিয়ে ড্রেসিংটেবিলের সামনে দাঁড়ালাম। আমার গলার কাছ থাকে গেঞ্জিটা একটু
নিচে করলাম। গলাটা শুঁকিয়ে আসছে। ঠিক ডান পাশে তিলটা।
স্কেচেও তা। পরপর বাকি তিলগুলো ঠিকঠাক পেয়ে গেলাম। নিজের
শরীরে এতো যায়গায় তিল তা আমি নিজেও জানি না। লজ্জায় শ্বাস
আটকে আসছে। এ কেমন অদ্ভুত আচরণ? ছি। লোকটা তো বড্ড
লুচ্চা। এটা যেখানে ছিলো, সেখানে রাখা'ই উত্তম। এটা নিয়ে তাঁর
সামনে পড়ার মানে নেই কোনো। দৌঁড়ে যেতে গিয়ে স্কেচ হাতে ফ্লোরে
পড়ে গেলাম। আমার পড়ে যাওয়ার আওয়াজ শুনে সে তৎক্ষণাৎ বেরিয়েছেন। তার
পায়ের সামনে স্কেচটি৷ কী মারাত্মক অসুন্দর পরিস্থিতি।

চাচাতো ভাই যখন রোমান্টিক লাভার (সিজন ০১) Where stories live. Discover now