পর্ব - ১২

39 4 0
                                    

ইচ্ছে করছে ওর চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলি। এতটা রাগ লাগছে। উফ।
কীভাবে পারলো মেয়েটা? কীভাবে পারলো আমাকে এগুলো
বলতে? বেশরম। নিজেই তো তন্ময় ভাইয়ের পিছু ঘুরঘুর করে।
কোন মুখে আমাকে কথা শোনাতে আসে?
আমার সুন্দর ফুরফুরে মনটা। গুড়িয়ে দিয়ে গেলো। তোর মনও
গুড়িয়ে যাবে। দেখিস। টুকরো টুকরো করে গুড়িয়ে যাবে।
দুপুর পর্যন্ত ঘরে আটকে ছিলাম। একদমই বেরোলাম না। কি করতে
বেরোবো? সুমনা চুন্নির মুখ দেখতে? ন্যভার এ্যভার। যতক্ষণ না এই
মেয়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ বেরোবো না। আজকের পর থেকে ও আমার
কিচ্ছু লাগেনা। কিচ্ছু না।
দীপ্ত আর রুবি আপু এসেছে। রুবি আপু পাশাপাশি বসলো,
' আশ্চর্য। তুই কী দিনদুনিয়ার খবর রাখবি না? হুঁ?'
'কি হয়েছে?'

দীপ্ত ধীরে বলল,
'কি হয়নি বলো। তন্ময় ভাই ছাদে। এখন সুমনা আপুও গিয়েছে
সেখানে। পাঁচমিনিটের বেশি হচ্ছে। আর নামেনি ছাঁদ হতে।'
আমি বই বন্ধ করে দৌঁড় লাগালাম। দরজা পর্যন্ত গিয়ে থেমে
গেলাম। জিহ্বা কামড়ে, গলা পরিষ্কার করলাম। ধুর। আমি কেন
দৌঁড়ঝাপের প্রতিযোগিতা শুরু করলাম। যেটা ইচ্ছে করুক আমার
কী। রুবি আপু হাসছে,
এখনই হিংসে হচ্ছে। হিহিহিহি। আর তো দিন পড়েই আছে।'
দীপ্ত হঠাৎ সোজা হয়ে দাঁড়ালো। রোবটের অভিনয় করে বলল,
চলো। আমরাও যাবো ছাঁদে। লেটস গো।'
একপ্রকার টেনেটুনে নিয়ে যাচ্ছে আমাকে। ওই সয়তান মেয়েকে
আবারও দেখতে হবে। ভাবতেই মাথাটা ধরে আসছে।

ছাঁদ বরাবর আসতেই বুক কাঁপছে। রাতের ঘটনা চোখে ভাসছে। সে
কপালে চুমু খেয়েছিলেন। হেসেছিলেন। শান্ত, মিষ্টি আওয়াজে কথা
বলেছেন। লজ্জায় মুখ গরম হয়ে উঠছে। ইশ। কিভাবে তার সামনে
যাব?
ছাঁদে উঠতেই চোখে পরলো, সুমনা পা ধরে নিচে বসে। তন্ময় ভাই ভ্রু
কুঁচকে দাঁড়িয়ে। তার পড়নে হাফপ্যান্ট, টি-শার্ট। সে বলছে,
সেন্স নেই শরীরে? সমান জায়গায় কিভাবে পড়ে যাও?'
আমাদের দেখতেই সে, রুবি আপুকে বললেন,
'রুবি ও ব্যাথা পেয়েছে। দেখ তো।'

সে আবারও কোণে চলে গেলেন। খুবই গম্ভীরমুখে কথা বলছেন
ফোনে। নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলছে।
এদিকে সুমনার চেহরা দেখার মতো ছিলো। ফাজিল মেয়ে। নিশ্চয়ই
ইচ্ছে করে করেছে। যেন ভাইয়ার কোলে চড়তে পারে। উহ। এতই
সোজা?

চাচাতো ভাই যখন রোমান্টিক লাভার (সিজন ০১) Où les histoires vivent. Découvrez maintenant