পর্ব - ১০

32 4 0
                                    

রুবি আপু গাড়ির জানালা খুলে, রবিন ভাইকে ডাকলেন,
--’ ভাইয়া। তুই বড় মা আর সুমনা'কে নিয়ে আয়।'
রবিন ভাইয়ের হয়তো সমস্যা নেই। সে আরামসে চাবি দিয়ে দিলেন।
-' তো বেরিয়ে যা। আমিও আসছি।'
তন্ময় ভাই গাড়ি স্টার্ট দিয়েছেন,
দীপ্ত সামনে আয়।'
দীপ্ত লক্ষী বাচ্চার মতো সামনে বসলো। তখনই সুমনা আর বড় মা
বেরিয়েছেন। সুমনা দ্রুত দৌঁড়ে এসে বলছে,
–' আমি কুনালদের সঙ্গে যাব।'
রবিন ভাইয়ের জবাব,
' যায়গা নেই ওটাতে তেমন। এটা খালি। '
ততক্ষণে গাড়ি চলছে। রুবি আপু হাসছে,
-- ক্লিংগি একটা৷ ক্রিঞ্জ বিহেভিয়ার। ধুর।'
দীপ্ত আমার ফোনে গেমস খেলছে। আঁড়চোখে তাকালো,

মনে হয়, সুমনা আপু তন্ময় ভাইকে পছন্দ করেন।'
তন্ময় ভাই এমন ভাবে তাকিয়েছেন দীপ্তর দিক, যে দীপ্ত দ্রুত ফোন
সরিয়ে ফেলল,
--' আররে আমি একা বলছি। রুবি আপুও বলছিল। মেয়েটা তোমার
সাথে..
দীপ্ত চুপ হয়ে গেলো। আমি জানালার বাহিরে তাকালাম। সত্যি
বলতে, ইদানীং তন্ময় ভাইয়ের নামের পাশে, অন্য মেয়েদের নাম
কেমন সহ্য হয়না। আবার তন্ময় ভাইয়ের আশেপাশে আমি থাকতে
পারিনা। সব দিক দিয়ে জ্বালা। এ কেমন অদ্ভুত অনুভূতি।
যেখানে যাচ্ছি, সেটা হচ্ছে তন্ময় ভাইয়ের নানু বাড়ি। বিশাল সেই
বাড়িতে থাকেন তন্ময় ভাইয়ের চার মামা, তাদের বউ, বাচ্চা। আর
নানু। হ্যাঁ তন্ময় ভাইয়ের নানী এখনও জীবিত। তার নানা মারা
গিয়েছেন আজ চার বছর হচ্ছে। তখন তন্ময় ভাইয়ের যা অবস্থা
ছিলো, তা নাইবা বা বললাম।

বড় মা হচ্ছেন সে বাড়ির চার ভাইয়ের একমাত্র বোন। খুবই
সৌখিনতায় বড় করা তাকে। সে পাইনি এমন কিছুই নেই। এখন,
বড় মা'র বদলে সে বাড়িতে আদর পাচ্ছেন তন্ময় ভাই। সে প্রচুর
প্রিয় ব্যক্তি সেখানে। সাধারণত তার নানু। সে তন্ময় ভাইয়ের পাগল।
তন্ময় ভাই ঢাকা হতে ফিরলে, আগে তাকে তার, নানুকে দেখে
আসতে হয়। নাহলে নানু নিজেই কল করে আসতে বলবেন।
মাঝেমধ্যে নিজে রেঁধে তন্ময় ভাইকে খাওয়াবেন।

এখনও সে তন্ময় ভাইকে কপালে চুমু খান। আর জড়িয়ে ধরলে তো
ছাড়বেনই না। তারপর তার মামাতো ভাই-বোন গুলো। এদের নিয়ে
যাই বলব কম। এক একটা খুবই অদ্ভুত। আজকে যাচ্ছি এদের রুপ
দেখতে।
গাছগাছালী ছাড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে ভেতরে। বলা যায়, তাদের বাড়ির
অবস্থান, এক জঙ্গলের ভেতরে। যেখানে আশেপাশে দোকান, স্টল বা অন্য কোনো বাড়ি নেই।

চাচাতো ভাই যখন রোমান্টিক লাভার (সিজন ০১) Where stories live. Discover now