পর্ব ১১

1.2K 42 1
                                    



এত অালোতে নিনীকার বেশ অস্বস্তি লাগছে।চোখের অালগা পাপড়িতে চোখ জ্বালা করছে।
চোখ করকর করে বারবার পানি চলে অাসছে।এই দুঘন্টায় রওনকের সাথে তাঁর কথা হয়েছে খুব অল্প অার সে রওনকের পাশে দাঁড়াতে পেরেছে মাত্র পাঁচমিনিট।তাও ফটোশুটের জন্য।ভালো করে তাকিয়ে দেখাও হলো না! রওনক শুধু একবার জিজ্ঞেস করলো,
হেই ডক্টর , অাপনার অার কোনো বন্ধু কি বাকি অাছে?খুশি তো?সব অাপনার মনমতো হয়েছে তো?
স্পষ্ট খোঁচা! অথচ রওনক এত নম্রভাবে বলল যে, নিনীকাকে হেসে বলতে হলো, না না সব ঠিকাছে।
রওনকের একটা জিনিস বেশ সুন্দর। কথা বলার সময় সে হাত নেড়ে নেড়ে কথার সাথে ম্যাচ করে।এসময় তাঁর ফর্সা রক্তলাল হাতের তালু দুটো কি যে চমৎকার দেখায়! ইচ্ছে করে টুপ করে ধরে, গালে ছুঁইয়ে দিতে।নিনীকা মনে মনে ভেবে ফেললো, বিয়ের পর বৃষ্টির রাতগুলোতে যখনি তারা গল্প করবে, রওনকের হাত দুটো তাঁর গালে চেপে ধরে রাখবে।

এত এত
ক্যামেরার ফ্লাশের অালো, চোখের সাথে সাথে এখন বুঝি নিনীকার শরীরও পুড়িয়ে দিচ্ছে।রওনকের সাথে দুমিনিট বসবার সুযোগও হচ্ছেনা।

অার রওনক? সে তো বাকিদের সামলাতেই ব্যস্ত।তবে এসবের মাঝে একটা জিনিস খুব চোখে পড়ার মত, রওনকের একটুও বিরক্তি নেই, ক্লান্তি নেই! সবাইকে হেসে ফেইস করছে।যেনো তাঁর কত ভালো লাগছে এসব...

এদিকে বিরাট গন্ডগোল; গেস্ট দ্বিগুণ হয়ে গেছে! নিনীকাদের জন্য বুকড টেবিলও দখল ।
ফুফু এক কোণায় দাঁড়িয়ে সোহেলের সাথে সমানে ঝগরা করে যাচ্ছেন!
------তোমার কি অাক্কেল বুদ্ধি একেবারেই নেই নাকি?একেক টেবিলে পদ রেখেছো, ১২টা করে। কত বিল অাসবে ভেবেছো?অামাদের জামাইকে তো ভিখিরি বানানোর তাল করছো....

-------অামরা তো অাসলে অাপনাদের কথা ভাবলাম।অাপনাদের দিকের গেস্ট, কোনো কমতি থাকলে তো অাপনাদের...
--------অামরা কি বলেছি, অামাদের গেস্ট হলেই হাতি ঘোড়া খাইয়ে দিতে হবে? .অাইটেম তো৪-৫ টে হলেই চলে।পরের টাকা পেয়েছো তো! বুদ্ধি ফলাও?বুদ্ধির কি বাহার? দই রেখেছো ভাল কথা, অাবার বোরহানি কেনো?
খাওয়ার বিলই তো অাসবে, তিন-চার লাখ টাকা...
--------এতো অাসবে না, ম্যাম...
------অামাকে বুঝাতে অাসবে না ছেলে, দাঁড়াও বিয়েটা হতে দাও অাগে, জামাইকে বলে, তোমার ব্যবস্থা নিচ্ছি.....
সোহেল মনে মনে বলল, ব্যবস্থা লাগবে না, অাপনি এরকমভাবে বকলে, অামিই চাকরি ছেড়ে দিবো......

নিনীকাWhere stories live. Discover now