৪.সূর্যসক এর বিবাহ

222 24 53
                                    

রাজপুত্র সূর্যসক অবশ্য তাহার সূর্যসুলভ ব্যাক্তিত্বের কারণে নারীসমাজে বহুল পরিচিতি লাভ করেন,তবে উহার নিকট উহার লেখাপড়ার অধিক গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই ছিলনা।

পর্বতের চূড়ায় বিশাল একখানা সূর্যমুখী বাগানের মধ্যে নিবাস রাজপুত্র সূর্যসকের। বহু চড়াই উৎরাই পার হইয়া ছাপাইয়া দড়ি লাগাইয়া অবশেষে চূড়ায় পৌছাইল সেজিন পন্ডিত। সূর্যমুখী পত্র উড়িতেছে, মেঘে রৌদ্র‍্যের খেলায় মাঝে খাঁজের নিকট দাড়াইয়া ডাক্তারি পাঠ মুখস্ত করে যাচ্ছিলেন অপরুপ এক সুপুরুষ।আলোর ছটায় সেজিন পন্ডিত তাকাইতে পারিল না। চক্ষু বাঁচাইতে হাত দিয়া ঢাকিয়া সেজিন পন্ডিত ডাকিয়া উঠিল, " শুনিতেছেন ও রাজপুত্রনিম? মহারাজের আদেশে আসিয়াছি।"

সূর্যসক হঠাৎ দুই লাফে তাহার পাশে আসিয়া দাঁড়াইল। এত দ্রুতবেগে এই বালক কিরুপে এইখানে আসিল তাহা ভাবিয়া সেজিনপন্ডিত আশ্চয্যি হইয়া গেল। মনখোলা হাসির শব্দ শুনা গেল।

" পিতৃমহোদয় কি আমার জন্য ফেনিলরস পাঠাইয়াছেন? আমার ফেনিলরসের ভান্ডার শেষ হইয়া গিয়াছে, ফেনিলরসের তৃষ্ণায় আমি কাতর হইয়া আছি।কিন্তু আমার রশ্মির তেজে মানবসকলের ক্ষতি হইবে বিধায় নিচে নামিতে পারিতেছিনা। তুমি কে হ্যা? তোমায় নতুন দেখিতেছি!"

সেজিনপন্ডিত চক্ষু ঢাকিয়া বলিল,"আজ্ঞে আমি সেজিনপন্ডিত, ফেনিলরস মহারাজ আপনাকে দিবেন এক শর্তে, যদি আপনি বিবাহ করিতে রাজি হউন। "

এই কথা বলিতেই আশেপাশের ছটা দমিয়া গেল। মনে হইল আকাশে এবং সূর্যসকের মুখশ্রীতে রাত্রির আধার জমিয়াছে।সেজিনপন্ডিত ভয়ে চক্ষু হইতে হাত নামাইয়া সূর্যসকের মুখশ্রী অবলোকন করিল। একি!
রূপবান, সাধারণ একটি পুত্র। রাজ্যের বিষাদ ভর করিয়াছে তাহার মুখশ্রীপরে। এই আনন্দময় পুত্রের এত কি কষ্ট?

সূর্যসক মাথা নাড়িল," আমি বিবাহ করিব না। বহু পাত্রী সূর্যদেবের স্বর্ণ শিরস্ত্রান হাতাইতে আমার নিকট পূর্বে আসিয়াছে। সূর্যদেব নিজ হস্তে ইহা আমাকে দান করিয়াছিলেন। ইহা লইয়া গেলে আমার ছটা আর থাকিবেনা। থাউক। বিবাহের কি প্রয়োজন। শিরস্ত্রানের ছটা দূর হইতে দেখিয়া মানুষ খুশি থাকিলেই আমি খুশি।"সামান্য বিষন্ন হাসিল সূর্যসক।

তলোয়ারী সৈন্যদল(Armed Force)[On Hold]Where stories live. Discover now