২২.তেতেসুরের হারাইয়া যাওয়া(চতুর্থ পর্ব)

70 14 73
                                    

"কি যা তা কহিতেছিস তুই মিনি!"একপ্রকারে গর্জনই করিয়া দাঁড়ায় তীক্ষ্ণজুন,"তেতে আর নেই,ইহার হেতু কি!"

"তেতের GPS এর signal শেষবারের মতন পাওয়া গেছে তোমার পুরোনো বনসাই বাগানের পশ্চিম দিক হইতে...সপ্তাখানেক পূর্বে,"শূন্য দৃষ্টি ভাঙিয়া তাহার হিয়্যুংনিমের পানে চাহিয়া কহে সে,"danger zone এর আগে-"

"আমার জন্যই হইয়াছে সব!"মুখে হাত দিয়া কাঁদিতে বসে কঙ্কাবতী,"আমি সেদিন না পালাইলে আমাকে আপনার বিবাহ করিতে হইতো না!আর এখন যত অলুক্ষণ ঘটিতেছে-"
"আহা তুমি কাঁদিতেছ কেন,জাগিয়া!"তাহাকে স্বান্তনা দিতে চায় তীক্ষ্ণজুন,"নিয়তির চাহিয়া বড় খেলোয়াড় আর কেহ নয়!সব সময় নিজেকে দোষারোপ করা বন্ধ কর!"

এবারে ব্যাপারখানা খোলাসা করিয়া বলি।কৌরীয়দের সহিত যে চন্দ্রপুরের মানুষের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া সম্ভব নয়,তাহা তো পূর্বেই সকলের জানা হইয়াছে।একারণেই রাজপুত্র তীক্ষ্ণজুন চন্দ্রপুরের নাম শুনিয়া ভীত হইয়াছিল কেননা এই দেব-দেবীদের তাহার কোনরূপ বিশ্বাস ছিলনা।তাহারা যেকোন সময় যাদুটোনা হইতে শুরু করিয়া যেকোন কিছু করিয়া বসিতে পারে যাহার বাঁধন খুলিতে বেগ পাওয়া অত্যাবশ্যকীয়।এইভাবেই তাহার এবং তাহার সহোদরের বিবাহ স্থির হইয়া গিয়াছিল,তবে এতে যে তাহারা আক্ষেপ করিতেছে,এমন কিছুনা।নোয়াখালী এবং বরিশালের মানুষের প্রতি যেমন ধারণা কাজ করে সবার মাঝে,একই ধারণা কাজ করে চন্দ্রপুরীয়দের প্রতি কৌরীয়দের মাঝেও যেখানে কিনা তাহাদের কোন দোষারোপ করিবার মতন কোন কারণই নেই।ইহা কেবল এক পূর্ব প্রচলিত ধারণা মাত্র।

এখন আসি প্রধান বিভ্রান্তিখানা খোলাসা করিতে।চন্দ্রপুরীয়দের সহিত কেবল চন্দ্রপুরীয়দেরই বিবাহ সম্ভব।তবে অন্য বংশের কাহারও সহিত যদি তাহা সম্পন্ন করা হয় তবে সেই বংশের উপর অমঙ্গলের কালো ছায়া নামিয়া আসিতে পারে।তবে তীক্ষ্ণজুনের নিকট এ সব কিছুই বানোয়াট বোধ হইয়াছিল বলে সে এই বিষয় লইয়া এত গা করে নাই।অঘটন ঠিকই ঘটে একদিন।তাহার যেই পুরোনো বনসাই এর বাগান খানা ছিল,তাহার পশ্চিম পাশ হইতে একে একে হারাইয়া যাইতে থাকে মানুষ।সেথায় দিয়াছে অন্য এক জগতের সহিত সংযোগ কারী এক অদৃশ্য দেওয়ালের দেখা।

তলোয়ারী সৈন্যদল(Armed Force)[On Hold]Where stories live. Discover now